ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

ফিচার

পৃথিবী ধবংসের পরও টিকে থাকতে পারবে যে প্রাণী!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৫২, আগস্ট ৫, ২০১৭
পৃথিবী ধবংসের পরও টিকে থাকতে পারবে যে প্রাণী! টারডিগ্রেড

ঢাকা: প্রায় এক মিলিমিটার বা তার চেয়েও ছোট আকৃতির প্রাণী টারডিগ্রেড। অনেকে আবার ওয়াটার বিয়ার বা জল ভালুক নামেও অভিহিত করেন বিচিত্র এ প্রাণীকে। এদের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে কিছু চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

সম্প্রতি পিএলওএস বায়লোজির প্রকাশিত জার্নালে টারডিগ্রেডকে টিকে থাকার লড়াইয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে যোগ্যতম প্রাণী বলে দাবি করা হয়।
 
গবেষকরা মনে করেন, টারডিগ্রেডরা যে কোনো পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম।

অত্যন্ত শুষ্ক, প্রচণ্ড ঠান্ডা, এমনকি মহাশূন্যেও এরা টিকে থাকতে পারে। তাছাড়া যে কোনো মহাজাগতিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে খালি চোখে প্রায় দেখাই না যাওয়া এ প্রাণীটির।
 
টারডিগ্রেডদের সাধারণত পাওয়া যায় বিভিন্ন জলাশয়ের ধারে, যেখানে শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে টিকে থাকার জন্য এক বিশেষ উপায়ে দেহের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখে এরা। এরপর আবার পানির সংস্পর্শে এলে পুরনো জীবনে ফিরে যায়। এভাবে প্রচণ্ড খরাতেও তারা বছরের পর বছর টিকে থাকতে পারে।
 
গবেষকররা বলেন, মূলত জেনেটিক বিবর্তনের ফলে টারডিগ্রেডরা এরকম অসাধারণ টিকে থাকার ক্ষমতা অর্জন করেছে। শুষ্ক পরিবেশে এদের দেহে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়, যা কোষে পানির অভাব পূরণ করে। এরপর পানির সংস্পর্শে এলে প্রোটিনগুলো ভেঙে পুনরায় কোষে পানি জমা হয়।
 
গবেষকরা মনে করেন, টারডিগ্রেডদের এই অসাধারণ টিকে থাকার ক্ষমতা মানবকল্যাণে কাজে লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক ব্ল্যাক্সটার বলেন, টারডিগ্রেডদের এই বিশেষ দক্ষতাকে ব্যবহার করে সারা বিশ্বে ভ্যাক্সিন সংরক্ষণ ও পরিবহনের উপায় উদ্ভাবন করা সম্ভব।
 
টারডিগ্রেডরা কেঁচোকৃমির খুবই কাছাকাছি শ্রেণীর প্রাণী। চলাচলের জন্য এদের দেহে আটটি ছোট ছোট পা বিদ্যমান। আশ্চর্য এ প্রাণীটিকে নিয়ে এখন বিশ্বের অনেক গবেষকই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।