নিরবে সৈকতে আছড়ে পড়ছে সাগরের ঢেউ। সেই ঢেউয়ে নেমে পা ভিজে দর্শনার্থীরা দেখছেন সূর্যাস্ত।
ক্ষণিকেই আরও হেলে পড়লো, নিমিষেই একেবারে সাগরের বুক ছুঁই ছুঁই লাল সূর্য। সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে গেল সাগর জলে। ততোক্ষণে লাল সূর্য সাগরের নিজেকে সপে দিয়েছে অর্ধেক। 
দূর সাগরে ট্রলার, স্পিড বোটের মাঝ দিয়ে ক্যামেরাবন্দি, সেলফি এবং ভিডিও হচ্ছিলো সূর্য ডোবার অপূর্ব ক্ষণ। ততোক্ষণে সাগরের বুকে হারিয়ে গেল আস্ত সূর্য। 
গোধুলি লগ্ন শেষে সূর্য ডোবার পরও আকাশে লাল আভা দৃশ্যমান। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় একই সঙ্গে দেখা যায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য।
জেলা শহর থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগরের এই সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার বিরল সুযোগ থাকায় বিশ্বের অনন্য পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে কুয়াকাটা। 
এই পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বের দরবারে আরও পরিচিত করে তুলে ধরতে প্রথমবার আয়োজন করা হয়েছে মেগা বিচ কার্নিভাল। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে তিন দিনব্যাপী এ কার্নিভালে নানা আয়োজন ছাড়াও আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ
-Beaumontia-by-Biswajit.jpg)
