সুইডেনের ৩৭ বছর বয়সী এক ভদ্রলোক নিজের স্পোর্টস কারটি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তার কারটি আবার শস্তা দামের কোনো স্পোর্টস কার নয়।
কত বেগে গাড়ি চালালে এত ডলার জরিমানা হতে পারে কল্পনা কারও মুশকিল। সুইজারল্যান্ডের রাস্তায় স্পোর্টস কারের জন্য সর্বোচ্চ গতিবেগ বেঁধে দেওয়া আছে ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। কিন্তু নাম না জানা ওই সুইডিস ভদ্রলোকের এতেও শখ মেটেনি। হাজার হোক তার গাড়ির ক্ষমতা যে ৩১৭ কিলোমিটার! তাই তিনি রাস্তা ফাঁকা পেয়ে মনের সুখে বাড়িয়ে দিয়েছেন তার গাড়ির গতি। এই গতি বাড়তে বাড়তে কখন যে ২০০ কিলোমিটার পেরিয়ে গেছে তিনি টেরই পারেননি। গতির আনন্দে হয়তো তখন তার মন বলে ওঠে আরো জোরে আরো জোরো ...। শেষ পর্যন্ত গতিবেগ ২৯০ কিলোমিটার! ঠিক সেই মুহূর্তেই চোখ কপালে তুলে পিছু ধাওয়া করে বেরসিক সুইস পুলিশ।
গাড়িসহ ওই চালক ভদ্রলোককে আটক করার পর স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র বেনোয়িট ডুমাস গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘২৯০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালালে সঠিক পথে চলা কিছুতেই সম্ভব নয়। ওই গতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়। কারণ ওই গতিতে থাকলে গাড়ি থামাতে অন্তত ৫০০ মিটার পথ গড়াতে হবে। ’
যাই হোক, এ ঘটনায় সৃষ্টি হয়ে গেছে দুটি বিশ্ব রেকর্ড। একটি সর্বোচ্চ বেগে রাস্তায় গাড়ি চালানো, অন্যটি আইন অমান্য করে দ্রুত বেগে গাড়ি চালানোর জরিমানার অঙ্ক। অর্থাৎ ২৯০ কিলোমিটার বেগে রাস্তায় গাড়ি চালানোর অপরাধে এর আগে পৃথিবীর কোনো দেশে কেউ ধরা পড়েননি। আর এমন অপরাধে কাউকে ১০ লাখ ডলার জরিমানাও গুনতে হয়নি।
সুইজারল্যান্ডের আইন অনুযায়ী রাস্তায় আইন অমান্য করে দ্রুত বেগে গাড়ি চালানোর অপরাধে জরিমানা করা হয় চালকের ব্যক্তিগত সম্পদ আর গাড়ির গতি বিবেচনা করে। আইন অমান্য করে দ্রুত বেগে গাড়ি চালানোর দায়ে জরিমানার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। গত জানুয়ারিতে এই জরিমানা দিয়েছিলেন এক সুইস চালক। এবার সুইডেনের নাগরিক সেই রেকর্ড ভেঙে গড়ে তুললেন নতুন রেকর্ড। বলিহারি মার্সিডিজ, বলিহারি সুইডেনের রাস্তা ও আইন!
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২১০, আগস্ট ১৪, ২০১০