ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

৫৩ বছর পর...

জাহাঙ্গীর আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১১
৫৩ বছর পর...

তাদের ডিভোর্সও হয়ে গেছে অনেক আগেই। অথচ প্রথম প্রেমিকার (পরে স্ত্রী) অনেক আদরে লেখা প্রেমপত্র ৫৩ বছর পরে হাতে পেলেন প্রেমিক! নাম-ঠিকানা নিয়ে বিপত্তি বাধলে কী-ই বা করার থাকে ডাক কর্তৃপক্ষের!
 
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠিপত্রের কামরায় একটি চিঠি পাওয়া গেছে। এটি ১৯৫৮ সালে এক ছাত্রকে তার প্রেমিকার লেখা চিঠি। পরে অবশ্য এই যুগল বিয়ে করেছিলেন, আবার তাদের ডিভোর্সও হয়ে গেছে।

চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল ক্লার্ক সি মুর নামের ছাত্রকে উদ্দেশ করে লেখা। কিন্তু তিনি পরে নাম পরিবর্তন করে মুহাম্মদ সিদ্দিক রাখার কারণে এ বিপত্তি ঘটে। মুর সিদ্দিক হয়ে যাওয়ায় চিঠিটি আর পৌঁছানো যায়নি।

গত জুনে ক্লার্ক সি মুরের (বর্তমানে সিদ্দিক) এক বন্ধু একটি টেলিভিশন প্রতিবেদন দেখার পর চিঠি বাছাই কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। ওই বন্ধুর মাধ্যমে সিদ্দিক তা জানতে পারেন।

এতোদিন পর প্রেমিকার চিঠি পাওয়ার অনুভুতি ব্যক্ত করে সিদ্দিক (৭৪) জানান, চিঠিটি পড়ার জন্য তিনি এখনো খুবই উদগ্রীব।

খামের গায়ে লেখা দেখে জানা যাচ্ছে, দুই পাতার ওই প্রেমপত্রটি মুরকে উদ্দেশ করে লেখা। লেখা হয়েছে ১৯৫৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে। চিঠির নিচে নাম সই করা আছে ‘লাভ ফরএভার ভোন্নি’ নামে।

বর্তমানে সিদ্দিক একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। থাকেন পেনসিলভানিয়ার মধ্য পশ্চিমের শহর ইন্ডিয়ানাপোলিসে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তখন তিনি সত্যিই ভড়কে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ালেখা করতেন। প্রথম থেকেই তিনি ও তার প্রেমিকা পরস্পরকে চিঠি লিখতেন। পরে তারা বিয়ে করেন এবং তাদের চারটি সন্তানও হয়।

আধুনিক কম্পিউটার, ইন্টারনেট আর ই-মেইলের যুগ নিয়ে একটু হতাশা ব্যক্ত করে সিদ্দিক বলেন, সেই সময় আর এখনকার রোমাঞ্চের মধ্যে বিস্তর তফাত, এই যে চিঠিপত্র দিয়ে পরস্পরের কাছাকাছি থাকা এটা ই-মেইলের চেয়ে অনেক বেশি রোমান্টিক।

তবে সেই প্রথম প্রেম ভোন্নির সঙ্গে পরে ডিভোর্সের ব্যাপারে একটু মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখালেন সিদ্দিক। বিষয়টি অনেকটা এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, সে সময় এটা ছিল পরস্পরের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা, আগ্রহ, যতœশীলতা এবং নিষ্কলুষতার একটা প্রমাণ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিঠিটি সিদ্দিকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি টি-শার্টসহ চিঠিটি তাকে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।