ওবামা কি ক্যামেরনের সাম্প্রতিক আপডেট “লাইক” করেছেন, আঙ্গেলা মারকেল কি প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ কে “পোক” করেছেন? জি হ্যাঁ, বিশ্বনেতারা ফেসবুকের মতোই দেখতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সারাক্ষণ যোগাযোগ রক্ষা করেন। যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর টিভি সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিশ্বরাজনীতির এই শক্তিশালী মানুষগুলো ফেসবুকের আদলে তৈরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমস্ত বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। জি-২০-এর “এলিট” সদস্যরা ফেসবুকের মতই “রিয়েল টাইম” চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেন। এমনকি তারা যে কোনো ছবি বা ডকুমেন্ট আপলোড করে একে অপরকে “কমেন্ট” করতে এবং দেখতে পারেন।
সুইডেনের SVT.SE নামের নিউজ ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের ক্যামেরার মাধ্যমে এই নেটওয়ার্কের কিছু কার্যক্রম ধারণ করেছে। এই ওয়েবসাইটের রিপোর্টার লিনুস ব্রহুল্ট এই ভিডিও ফুটেজ ধারণে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি দেখেছি জি-২০ নেতারা সম্মেলনে আগত বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন। মজার ব্যাপার হলো, এই নেটওয়ার্ক জি-২০ মিটিং চলাকালে এবং এর পরে নিজেদের মাঝে আলোচনা করার সময়ও ব্যবহার করা হয়েছে। ”
তিনি আরও বলেন, “অবশ্যই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হলো একে অপরের সাথে আরও সহজভাবে যোগাযোগ রক্ষা করা, যে কোনো আলোচনার সহজ সমাধান করা”।
কানাডার OpenText নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই সফটওয়্যার তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। এই প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে এমন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে, যার মাধ্যমে জি-২০ নেতারা একে অপরের সাথে গোপনীয়তা রক্ষা করে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন।
এই প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র জেমস লাথাম বলেন, “আমার মনে হয় রিয়েল টাইম আলোচনার সুযোগ তৈরি করা বিশ্বনেতাদের জন্য জরুরি। তারা যেন যার যার ক্ষেত্র ও স্থান থেকে একে অপরের সাথে সরাসরি এবং তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারেন, তাই এই ধরনের নেটওয়ার্ক তৈরি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের মনে রাখতে হবে এই পৃথিবী কীভাবে চলবে সেটা তো তারাই ঠিক করেন। ”
ডাউনিং স্ট্রিট এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যে টেলিফোনের একটি সরাসরি “হটলাইন” আছে তা সবাই জানেন। কিন্তু ডেভিড ক্যামেরন এবং বারাক ওবামা যদি এই প্রথাগত পদ্ধতি ব্যাবহার না করে আধুনিক এই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে অবাক হবার কিছু নেই।
চ্যানেল ফোর টিভি জানায়, ডাউনিং স্ট্রিট ফেসবুক এবং টুইটারের মতো আধুনিক রিয়েল টাইম যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করা শুরু করেছে। কম খরচের এই পদ্ধতি যে কোনো আধুনিক মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য যোগাযোগ রক্ষাকারী যন্ত্রের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। ব্রিটেনের মন্ত্রীদের অনেকেই এখন এ ধরনের যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময় ২০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১১