ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

যে গ্রামের ৯০% মানুষ ডাকাত

তানভীর হোসেন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১১
যে গ্রামের ৯০% মানুষ ডাকাত

নারায়ণগঞ্জ: গ্রামের নাম মরদাসাদী। এটি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

বছরখানেক আগে নাম পরিবর্তন করে শান্তিপুর করা হলেও সরকারি খাতাপত্রে এখনও এর পরিচিতি মরদাসাদী হিসেবেই। তবে স্থানীয়ভাবে এর আরও একটি নাম আছে। যদিও গ্রামের স্বল্পসংখ্যক সচেতন ও শিক্ষিত নাগরিকের জন্য তা বেশ অস্বস্তিকরই।

দেশের আরও হাজার হাজার গ্রামের মতই এটাও ছায়া সুনিবির  শ্যামল-শান্ত একটি জনপদ। প্রায় ৫ শ’ পরিবারের কমবেশি সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এ গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে ভোটারের সংখ্যা মাত্র ৯৫২ জন।

কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে এ গ্রামের শতকরা ৯০ ভাগ বাসিন্দার পেশা ডাকাতি। মরদাসাদী ও আশপাশের বিভিন্ন সূত্রের ধারণা মতে- এ গ্রামের লোকজনের হাড়-মজ্জা আর রক্তে মিশে গেছে ডাকাতি। আর তাই, আঞ্চলিকভাবে মরদাসাদীর চেয়ে ‘ডাকাইত্তা গেরাম’ হিসেবেই এর পরিচিতি বেশি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের অনেকেই ভালো পেশায় যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের পূর্বপুরুষেরা ডাকাতি পেশায় জড়িত থাকায় উত্তরাধিকার সূত্রে তারাও ডাকাত বনে গেছেন।

নামে কি বা আসে যায়!
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, মরদাসাদী গ্রামটি আড়াইহাজারের জন্য কলঙ্কের তিলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডাকাইত্তা গ্রামের নাম শুনলে প্রতিবেশী গ্রামের মানুষও আঁতকে ওঠে। এ কলঙ্ক মোচনের একটি উদ্যোগ ছিল নামের পরিবর্তন ঘটিয়ে গ্রামের নাম ‘শান্তিপুর’ করা। কিন্তু,‘নামে কি বা আসে যায়’ প্রবচনের নির্ভুলতা প্রমাণেই হয়তো তাতে তেমন ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি মরদাসাদীর- গ্রামের সিংহভাগ বাসিন্দার তষ্করবৃত্তি তাতে কমেনি- আগের মতই তারা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাকাতি কর্মকা-।

ডাকাইত্তা গ্রামের আশপাশের গ্রামগুলোতে কোনও রাতে ডাকাতি হয়নি- এটা অস্বাভাবিক আর প্রায় রাতে ডাকাতি হবে এটাই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের জন্য স্বাভাবিক ঘটনা। ডাকাতদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের লোকজন। এদিকে মরদাসাদীর ‘সঙ্গ দোষে’ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের লোকজনও জীবীকার মূল অবলম্বন হিসেবে ডাকাতিকেই বেছে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অর্থাৎ ডাকাইত্তা গ্রামের বলয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সম্প্রতি আড়াইহাজার সদর ইউনিয়ন বাজারে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয়ে মরদাসাদী গ্রামের চিহ্নিত ডাকাত মোক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে থানায় অন্তত একডজন মামলা রয়েছে। তবে সবগুলো মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

এটা এখন আমার পেশা
এত কাজ থাকতে ডাকাতি কাজে কেন! এর জবাবে মোক্তার কিছুটা উদাস কণ্ঠে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভাইরে, এটা এখন আমার পেশা। আমি অন্য কোনও কাজ করতে পারি না। আমি তো ডাকাত হয়ে জন্মাইনি। কিন্তু আমার বাপ-দাদা সবাই ছিল ডাকাত। জন্মের পর যখন বুঝতে শিখেছি তখন দেখতাম, আমার বাপ-চাচারা রাতে বাড়ি থেকে বের হতো। আর সকালে ঘরে আসতো। সঙ্গে আনতো নানা ধরনের জিনিসপত্র। আবার মাঝে মধ্যে তারা বাড়িতেও আসতো না। পরে খবর পেতাম তারা ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে কারাবন্দী হয়েছে। কিন্তু জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আবারো ডাকাতি শুরু করে। আমি ভাবতাম এটাই মানুষের সবচেয়ে ভালো আর উচিৎ পেশা। ’

মোক্তার বলেন, ‘পূর্ব পুরুষের দেখাদেখি আমিও এক সময়ে ডাকাতি কাজে জড়িয়ে পড়ি। আমার আতœীয়-স্বজন আমাকে ‘ডাকাতি-কাজ’ শেখায়। ২০-২২ বছর হওয়ার পর আমি হয়ে উঠি এলাকার চিহ্নিত ডাকাত। তখন মাসে ১০-১২টি ডাকাতি করতাম। আড়াইহাজারেও করতাম আবার অন্য এলাকাতে গিয়েও করতাম। আমার কাছে তখন ডাকাতি কাজটিই ভালো পেশা বলে মনে হয়। ’

মোক্তার জানান, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক বছর পর সে সময়ের বিএনপি দলীয় স্থানীয় এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুরের কথায় তিনিসহ আরো ৪৪ জন ডাকাত আত্মসমর্পণ করে ভালো পথে ফিরে আসার চেষ্টায় ব্রতী হন। কিছুদিন জেল খেটে তারা আবারো মুক্তি পেয়ে অন্য কাজ করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু সমস্যা হল অতীত কার্যকলাপের কারণে তখন কোথাও ডাকাতি হলে তাদেরকে নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া শুরু হতো, দোষারোপ করা হতো। ফলে ‘ভাল হয়ে’ বেশিদিন ভালো থাকা হয়ে ওঠেনি তাদের।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপের সময়ে মোক্তারের সঙ্গে ছিলেন তার সহযোগী ইসলাম মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ‘মরদাসাদী গ্রামের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি লোক এখন ডাকাতি কাজে জড়িত। ইচ্ছে করলেই কেউ ডাকাতি ছাড়তে পারবে না। কারণ এটা তাদের পেশা ও রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। তাছাড়া ডাকাতি করে তো এ গ্রামের হাজার হাজার লোকজন ভালোই আছে। মাসে বড় ধরনের ৬-৭টি ডাকাতি করতে পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়েপড়ে কেটে যায় কয়েক মাস। ’

আয়ের অংশ দিতে হয় পুলিশকে
মরদাসাদী গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লা নামের এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি আড়াইহাজার বাজারে একটি মুদির দোকানদার। মরদাসাদী গ্রামটি ডাকাতদের গ্রাম হলেও এ গ্রামে ডাকাতি হয় না। এ গ্রামে মূলত ডাকাতেরা বসবাস করে। বহু বছর ধরেই গ্রামটি ডাকাতদের গ্রাম হিসেবেই পরিচিত। এ গ্রামের ডাকাতেরা অন্যত্র গিয়ে ডাকাতি করে।

মুুদি দোকানদার কাশেম মোল্লার কথায় যে ইঙ্গিতটা স্পষ্ট তা হলো- ‘এমন নাম-ডাক যে গ্রামের, সেখানে ডাকাতি করতে আসবে এমন দুর্মতি কার হতে পারে!’

জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছি
সোলায়মান নামের এক ডাকাত বাংলানিউজকে জানান, তার বয়স এখন ৫৫। কিন্তু এ বয়সেও তিনি ডাকাতি করেন। ডাকাতিতে ‘হাতে-খড়ি’ ১৪ বছর বয়সে।

তিনি বলেন, ‘তবে ডাকাতি কাজে আয় করা অর্থের একটি অংশ দিতে হয় পুলিশকে। না হলে পুলিশ বিরক্ত করে। ’

তবে পরবর্তী প্রজন্মকে এ পেশায় আনতে নারাজ সোলায়মান।

তিনি বলেন, ‘আমি তো বাপ-দাদার কাছ থেকে ডাকাতি শিখে জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছি। এখন যদি আমার ছেলে মেয়েরা একটু পড়াশোনা করে ভালো হতে পারে। আমার ইচ্ছে- আমার ছেলে মেয়েরা অন্য পেশায় আসবে। এজন্য আমি আমার ২ ছেলে আর ১ মেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছি। ’

‘ওই যে আইছে ডাকাইত’
গ্রামের আবু বক্কর সুমন বললেন, “আমি এলাকাতে একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা করছি। ডাকাতি করছি না, কিন্তু আমি অন্য কোনও এলাকাতে গেলে ‘আমারে ডাকাইত’ বলে টিটকারী করে লোকজন। তারা বলে, ‘ওই যে আইছে ডাকাইত’। এসব শুনতে আমার কাছে খারাপ লাগে। ”

তথ্য দেওয়ার ‘অপরাধে’ খুন
সুমনদের মত গ্রামের সচেন-শিক্ষিত যুবকরা এ পরিস্থিতি বদলাতে চেষ্টা করেন না কেন? এ প্রশ্নের জবাবে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মরদাসাদী গ্রামে ডাকাতি বন্ধে পুলিশকে সহযোগিতা করতে গিয়ে সামসুল নামের এক ব্যক্তি খুন হন। গ্রামের লোকজন (ডাকাতরা) তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে।

এলাকাবাসী জানান, ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে খবর দেওয়ার ‘অপরাধে’ দুর্বৃত্তরা তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।

মরদাসাদী গ্রামের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত ডাকাতদের মধ্যে রয়েছে- দোলায়ার, ছাদু, মতি, আলাউদ্দীন, সইপ্পা, জালাল, ছানা, নোয়াব আলী, আল আমিন, রিপন, আক্তার, সেলিম, শের আলী, মিছির আলী, কবির, বিল্লাল, আনার, নজু, ইসলাম প্রমুখ।

এমপি’র বক্তব্য
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় (নারায়ণগঞ্জ-২: আড়াইহাজার) সরকার দলীয় এমপি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ‘মরদাসাদী গ্রামে ডাকাতি বন্ধে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ গ্রামের লোকজন মূলত পূর্ব পুরুষের হাত ধরেই ডাকাতি কাজে এসেছে। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে নতুন করে ডাকাতি পেশায় আসতে না পারে সেজন্য মরদাসাদী গ্রামে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার ছোঁয়া পেলে আশা করি অনেকেই এ পেশাকে ঘৃণা করে তাদের মনোভাবে পরিবর্তন ঘটাবে। তাছাড়া এ গ্রামের লোকজন যাতে নিজেদের কলঙ্কিত মনে না করে সেজন্য মরদাসাদী গ্রামের নাম পরিবর্তন করে শান্তিপুর করা হয়েছে। আশা করছি অচিরেই এ গ্রামের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ’

কখনো বুঝানোর চেষ্টা করা হয়নি
আড়াইহাজার থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘মরদাসাদী গ্রামটিতে শিক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। একটি মাত্র মাদ্রাসা রয়েছে। এর বাইরে নেই কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গ্রামের লোকজন অন্য গ্রামে স্কুলে তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করবে- তা চায় না। এ কারণেই গ্রামের লোকজন অজ্ঞতায় নিমজ্জিত হয়ে আছে- লিপ্ত রয়েছে যাকাতি কাজে। তারা এ কাজটিকেই ভালো মনে করে। এসব গ্রামের লোকজনকে কখনো বুঝানোর চেষ্টা করা হয়নি। ’

তার মতে- তবে শিক্ষা পেলে তাদের মধ্যে পরিবর্তন হবে।

তিনি আরও জানান, গ্রামের যে সব লোকজন অন্য পেশায় জড়িয়ে গেছে, তারা এখন আর ওই গ্রামে থাকে না।

রাতে বাড়িতে পুরুষ থাকে না
মরদাসাদীতে প্রায় সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় অভিযান চালানোর সূত্রে এলাকা সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মরদাসাদী গ্রামে রাতের বেলায় কয়েকটি বাড়ি ছাড়া প্রায় সবগুলো বাড়িতে পুরুষ থাকে না। রাতের বেলায় বেশীরভাগ বাড়িঘরের দরজা জানালা থাকে খোলা। কারণ এখানে কখনো ডাকাতি হয় না। গ্রামের বেশীরভাগ লোকজনই অন্যত্র গিয়ে ডাকাতি করে আবার সকালে ফিরে আসে। ’

আড়াইহাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ডাকাতদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান নিয়মিত চলছে। ওই গ্রামের কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কঠোর অভিযান চালায়। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আড়াইহাজার উপজেলার অর্থনীতি তাঁতশিল্প নির্ভর। তাঁত এ অঞ্চলের মানুষের সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার পেছনের কারণটিও এ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। দিন দিন সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছোট-বড় তাঁতকল। শ্রমিকরা গণহারে বেকার হচ্ছেন। বেকার জনগোষ্ঠীর একটি অংশ ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। তাঁতকলের চাকা সচল হলে ডাকাতিও কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ’

তবে তার এ মতের সঙ্গে ডাকাইত্তা গ্রামেরই অনেকেই দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। কারণ, কোনও কারণে নির্দিষ্ট পেশায় প্রতিবন্ধকতা হলেই এলাকার মানুষ অবধারিতভাবে গণহারে দস্যুবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়বে- তা অবিশ্বাস্য। আর এ এলাকার মানুষ ডাকাতিতে জড়িত বংশানুক্রমে। তাই এর ইতিহাসও খুব একটা নবীন নয় এবং একইভাবে শুধু সুতার দাম বাড়ার সুতায় জড়িত নয়।

তাদের মতে- ডাকাইত্তা গ্রামকে সতি সত্য ‘শান্তিপুর’ বানাতে হলে সরকারি-বেসরকারি সব মহলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।  
তানভীর হোসেন, জেলা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।