ঢাকা: বিচিত্র ও বিপুল লোকউপাদান দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে খুঁজে বের করে সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলা একাডেমী।
এ জন্য দেশের ২৩টি জেলা থেকে মনোনীত ১৬ জন প্রধান সমন্বয়কারী, ৫ জন সমন্বয়কারী ও ৭৮ জন সংগ্রাহক নিয়ে মঙ্গলবার থেকে দু’দিনের কর্মশালা শুরু হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের সামনে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সংগৃহীত উপাদান গ্রন্থাকারে প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমী।
‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় একাডেমীর সেমিনার কক্ষে মঙ্গলবার সকালে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমীর সচিব ও কর্মসূচির পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন।
কর্মশালায় সংগ্রাহক ও সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, ফোকলোর গবেষক ও জাদুঘর বিশেষজ্ঞ ড. ফিরোজ মাহমুদ এবং ফোকলোর গবেষক, বাংলা একাডেমীর প্রাতিষ্ঠানিক-পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক শাহিদা খাতুন।
স্বাগত ভাষণে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ফোকলোর যে স্তরে পৌঁছেছে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলা একাডেমী দেশের ফোকলোরচর্চার এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে চায়। ’
তিনি বলেন, ‘ফোকলোরের আন্তর্জাতিক ধারার সঙ্গে আমাদের সংযোগ সাধন অত্যন্ত জরুরি। ফোকলোর গবেষকদের তাত্ত্বিক গবেষণা এবং মাঠকর্ম উভয়ের সম্মিলনে ফোকলোরকে এগিয়ে নিতে হবে। ’
প্রধান অতিথির ভাষণে তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সভ্যতার ঊষালগ্নেই সংস্কৃতির সৃষ্টি আর এর মুখ্য উপাদান হচ্ছে লোকজ জীবনাচরণ বা লোকসংস্কৃতি। ’
তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতিবান্ধব বর্তমান সরকার দেশজ সংস্কৃতির বিকাশে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে আসছে। বাংলা একাডেমী আয়োজিত ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ কর্মসূচির মাধ্যমে সংস্কৃতির শেকড়ে পৌঁছানো বা আত্ম-অনুসন্ধান সম্ভব। ’
সভাপতির ভাষণে জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, ‘লোকসংস্কৃতিই হলো আমাদের আদি সংস্কৃতি। জ্ঞানের অসীম ধারায় সম্পৃক্ত হয়ে ফোকলোর-গবেষকেরা আমাদের সামগ্রিক সংস্কৃতিকেই সমৃদ্ধ করবে। ’
ফোকলোর-গবেষকদের আন্তরিকতা, মেধা ও শ্রমের মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমীর এই কর্মসূচি পূর্ণতা পাবে বলে আশা করেন অধ্যাপক চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১১