ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

তানজানিয়ায় বিরল সাদা জিরাফ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
তানজানিয়ায় বিরল সাদা জিরাফ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জিরাফটির গায়ের রং সাদা। সাদার ওপর হালকাভাবে ফুটে অ‍াছে গায়ের ছোপ ছোপ দাগ।

আফ্রিকার তৃণভূমিতে তার পাশে হেঁটে বেড়াচ্ছে আরও অনেক জিরাফ। তবে বাকিগুলোর রং স্বাভাবিক। সাদা জিরাফটির নাম ওমো।

‍তানজানিয়ার তারাংগির ন্যাশনাল পার্কের একমাত্র সাদা জিরাফটি দলের অন্য জিরাফদের সঙ্গে মিলেমিশেই থাকে। ওমোর সঙ্গীরাও তার ব্যতিক্রম রঙে বিচলিত নয় মোটেই। তবে তার সাদা রঙে আকৃষ্ট হয় শিকারিরা।  

ইকোলজিস্ট ড. ডেরেক লি ওয়াইল্ড নেচার ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানী।


ডেরেক জানান, ওমো হচ্ছে লিউসিস্টিক। মানে তার ত্বকের কিছু কোষ ছাড়া বাকি কোষগুলো রঞ্জক উপাদান তৈরি করতে পারে না। তাই তার গায়ের রং সাদাটে ধরনের। তবে সম্পূর্ণ আলবিনো বা ধবলগ্রস্ত প্রাণীদের মতো একেবারেই সাদা দেহ আর নীল বা লাল রঙের চোখ তার নেই। তবে ওমো আংশিক ধবলগ্রস্ত। যার বৈশিষ্ট্য সাদার মধ্যেই শরীরের স্বাভাবিক রংগুলো হালকাভাবে ফুটে ওঠ‍া।
 
ওমো এখানে একমাত্র বিবর্ণ জিরাফ। তবে তারাংগিরেতে লিউসিস্টিক ওয়াটারবাক, কেপ মহিষ ও উটপাখি রয়েছে। জানান ৪৫ বছর বয়সী ডেরেক।

বিরল লিউসিস্টিক জিরাফ এটিই প্রথম নয়। আফ্রিকার ক্রগার ন্যশনাল পার্কে ২০১১ সালের অক্টোবরে ও ২০০৯ সালে এমন আরও দুটো জিরাফ দেখা যায়।


ডেরেকের কথায় জানা যায়, ওমোর বয়স এখন ১৫ মাস। তার জন্মের প্রথম বছরটি ছিলো খুবই শঙ্কার। কারণ এসময় বাচ্চা জিরাফদের ওপর সিংহ, চিতাবাঘ ও হায়েনাদের নজর থাকে। তবে টিকে থাকলেও তার সাদাটে রং সহজেই দৃষ্টিগোচর হয় বলে একটু ঝুঁকি তো রয়েছেই।

ডেরেক ও তার সঙ্গীরা জিরাফ সংরক্ষণ ও শিকার প্রতিরোধের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জিরাফদের ভালোভাবে বেঁচে থাকা যেনো সহজ হয় সেভাবেই এগিয়ে চলছে কাজ।


শুরুতেই বলা হয়েছিলো ওয়াইল্ড নেচার ইনস্টিটিউটের কথা। বন্য প্রকৃতি সংরক্ষণে ওয়াইল্ড নেচার ইনস্টিটিউট বৈজ্ঞানিক গবেষণা, জনশিক্ষা ও অ্যাডভোকেসি চালিয়ে যাচ্ছে।

এ সংস্থাটি পরিচালনা করছে সবচেয়ে বড় জিরাফ গবেষণা প্রকল্প। প্রতিটি জিরাফকে চিহ্নিত করতে স্থান প্যাটার্ন ব্যবহার করে তারাংগির ন্যাশনাল পার্কের দুই হাজার একশো জিরাফেরও বেশি জিরাফের তথ্য নথিভুক্ত করছে তারা।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।