ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

ইংরেজি নববর্ষের টুকিটাকি

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
ইংরেজি নববর্ষের টুকিটাকি

ঢাকা: কালের খেয়ায় চড়ে এলো আরও একটি নতুন বছর। গত বছরের সব দেনা-পাওনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব চুকিয়ে উঁকি দিচ্ছে নতুন সম্ভাবনার ২০১৬ সাল।

গোটা বিশ্ব উদযাপন করছে বর্ষবরণের উৎসব।

জেনে নেওয়া যাক ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের কিছু টুকিটাকি তথ্য।

দেশ ও সংস্কৃতিভেদে যার যার আলাদা আলাদা বর্ষপঞ্জি রয়েছে। তবে একমাত্র গ্রেগরিয়ান বা ইংরেজি ক্যালেন্ডার মেনেই চলে বিশ্ববাসীর সব হিসাব ও কর্মকাণ্ড।

ইংরেজি নববর্ষের ইতিহাস
আধুনিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু হয় নতুন বছর। ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের ধারণাটি আসে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে।

আবার অনেকের মতে, রোমে নতুন বছর পালনের প্রচলন শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩ সালে। পরে খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে সম্রাট জুলিয়াস সিজার একটি নতুন বর্ষপঞ্জিকার প্রচলন করেন। এটিই জুলিয়ান ক্যালেন্ডার।


রোমে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের অন্তর্গত বছরের প্রথম দিনটি জানুস দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। জানুস হলেন প্রবেশপথ বা সূচনার দেবতা। তার নাম অনুসারেই বছরের প্রথম মাসের নাম জানুয়ারি নামকরণ করা হয়।

এ গেলো যিশুর জন্মের আগের কথা। যিশুখ্রিস্ট্রের জন্মের পর তার জন্মের বছর গণনা করে ১৫৮২ সালে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি এই ক্যালেন্ডারের নতুন সংস্কার করেন। যা গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত।

বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই কার্যত দিনপঞ্জি হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়।


নতুন বছর পালন
আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ ইয়ার পালনের শুরু হয় ১৯ শতক থেকে। নতুন বছরের আগের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর হচ্ছে নিউ ইয়ার ইভ। এদিন নতুন বছরের অ‍াগমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।
 
বিভিন্ন দেশে নিউ ইয়ার বা নতুন বছরের এ দিনটি পাবলিক হলিডে হিসেবে উদযাপিত হয়। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা এক মিনিট থেকেই শুরু হয় নতুন বছর উদযাপনের উন্মাদনা। আকাশে ছড়িয়ে পড়ে আতশবাজির আলোকছটা। আধুনিক বিশ্বে অ‍ান্তর্জাতিক নিউ ইয়‍ার ডে সার্বজনীন একটি ঐতিহ্যে রূপান্তরিত হয়েছে।


দেশভেদে নতুন বছর পালন

লন্ডন
লন্ডনে বিগ বেন-এ ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা নাগাদ সংকেত দিলেই টেমস নদীর আকাশ ছেয়ে যায় আতশবাজির ঝলকে।

স্কটল্যান্ড
স্কটল্যান্ডের নিউ ইয়ার ইভের নাম হোগমেনেই। এদিন এডিনবার্গের প্রিন্সেস স্ট্রিটে স্ট্রিট পার্টি হয়।


গ্রিস ও সাইপ্রাস
গ্রিস ও সাইপ্রাসের নতুন বছর উদযাপনের মাত্রা একটু ভিন্ন। তারা বছর শুরুর রাতে বাতি নিভিয়ে ভাসিলাপিতা (বাসিল পাই) কাটে। এ পাইয়ের ভেতর একটি কয়েন থাকে। যার ভাগ্যে এই কয়েনটি পড়ে সে সারাবছরের জন্য ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়।

ফ্রান্স
ফ্রান্সের জনগণ আবহাওয়াকে নতুন বছরের ভবিষ্যতবাণী মনে করে। তাদের মতে আগত বছরের প্রাপ্তি সম্পর্কে আভাস দেয় বাতাস। বাতাস যদি পূর্ব দিকে বয় তাহলে এবছর ফল উৎপাদন ভালো হবে, পশ্চিমে বইলে মাছ উৎপাদন ভালো হবে, উত্তরে বইলে ফসল উৎপাদন ভালো হবে না বলে ধরে নেয় তারা।


অন্যান্য
কানাডা, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডে নতুন বছরের দিন মানুষ সমুদ্রসৈকত বা জলের দিকে ছুটে যায়। কখনও কখনও এই উদযাপনপানকে পোল‍ার বিয়ার প্লাঞ্জেস বলে। বিভিন্ন সংগঠন দাতব্য সেবায় টাকা তুলতেও কখনও কখনও পোলার বিয়ার পাঞ্জেসের আয়োজন করে।

পশ্চিমাদেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও বর্তমানে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানানো হয়। ৩১ ডিসেম্বর ও বছরের শুরুর দিন আয়োজন করা হয় বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্ট, পার্টি ইত্যাদি। এছাড়াও টেলিভিশন, রেডিও ও বিনোদন মাধ্যমগুলোতে থাকে বিশেষ আকর্ষণ।

নতুন বছর আসে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে। ২০১৬ সাল সবার জন্য হোক আনন্দের আর পূর্ণতার বছর। বাংলানিউজের পক্ষ থেকে সবার জন্য রইলো ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছ‍া ও শুভকামনা।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।