ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

এলো বড়দিন!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
এলো বড়দিন!

ঢাকা: ২৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বড়দিন। সার্বজনীন একটি ধর্মীয় উৎসব।

যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে পালিত খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবটি বিশ্বব্যাপী সব ধর্মের মান‍ুষ বিপুল উৎসাহের সঙ্গে পালন করে।
 
যিশুর জন্মদিন পালনের শুরুটা হয় রোমানদের দিয়ে। উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত দিবস উদযাপন বড়দিন পালনরীতির সূচনা করে।

যিশুর জন্ম
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মানবজাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে যিশুখ্রিস্ট পৃথিবীতে আসেন। ঐশ্বরিক ভবিষ্যৎবাণীর পর কুমারী মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু। ২৫ ডিসেম্বর বেথেলহাম শহরের একটি আস্তাবলে তিনি জন্ম নেন। যিশুর জন্মদিন পালন করার কারণ, ঠিক এই তারিখের নয় মাস আগে মা মেরি যিশুকে গর্ভে ধারণ করেন। যিশুর জন্মক্ষণে মেরির পাশে ছিলেন জোসেফ।

কোনো কোনো গ্রন্থে বলা হয়েছে, সদ্য জন্ম নেওয়া যিশুকে দেখতে এসেছিলেন কয়েকজন জ্যোতিষী। তাদের পথ দেখিয়ে জন্মস্থানে নিয়ে যায় ‘বেথেলহামের তারা’। এই তারাটি ছিলো জন্মবার্তা পৌঁছানোর বাহক।

উৎসব পালন
বড়দিনের উৎসবের মূল আয়োজন থাকে গির্জায়। সেখানে উপাসনায় যোগ দেন খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারীরা। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যভেদে বড়দিনের আনুষঙ্গিক আরও অনেক আচার-কানুন পালিত হয়। এছাড়াও পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ডিসেম্বরের শুরুতেই বড়দিনের অ‍ামেজ পাওয়া যায়। বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট ও পথ-ঘাট সেজে ওঠে উৎসবের সাজে। তবে বড়দিনের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হয় এর আগের দিন। বড়দিনের শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময়েরও একটি আনুষ্ঠানিক রীতি রয়েছে। শুভেচ্ছ‍া বিনিময়ে বড়দিনের কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।

নেটিভিটি সিন
বড়দিনের মূল ভিত্তি হচ্ছে যিশুর জন্ম। যিশুর জন্মদৃশ্য বিভিন্ন আঙ্গিকে উঠে আসে। অনেকেই ঘরে পুতুল, পনির, খাবারের উপকরণ বা অন্য আনুষঙ্গিক উপকরণ দিয়ে এ দৃশ্য তৈরি করেন। মঞ্চেও এ দৃশ্য অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।  

ক্রিসমাস ট্রি
বড়দিনের সাজসজ্জার মূল উপকরণ ক্রিসমাস ট্রি। প্যাগানদের বৃক্ষপূজা অনুষ্ঠানের অংশবিশেষ ছিলো এ গাছ। পরবর্তীতে তা খ্রিষ্টধর্ম‍ানুষ্ঠানে স্থান করে নেয়। বড়দিনের সময় ক্রিসমাস ট্রিকে ঘণ্টা, বাতি, রিবন, পুতুল ও অন্য উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়।

সান্তাক্লজ
সান্তাক্লজের হাত থেকে উপকার কে না পেতে চায়! চরিত্রটি পৌরাণিক হলেও সেন্ট নিকোল‍াসের প্রতিরূপ সান্তাক্লজ। সেন্ট নিকোল‍াস ছিলেন চতুর্থ শতাব্দীর তুরস্কের মিরার বিশপ। তিনি শিশুদের মধ্যে বড়দিনের উপহার বিলি করতেন।

খাবার
বড়দিনে খাবারের পর্বে থাকে বিশেষ আয়োজন। বড়দিনের কেক তো রয়েছেই, অঞ্চলভেদে বড়দিনের খাবারে ভিন্নতাও দেখা যায়। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে টার্কি ও হাঁসের মাংস, ম্যাশড পটেটো, সসেজ, সালাদ, পাই, ফল, পুডিং, মাছ, বিভিন্ন রকম ডেজার্ট, মিষ্টি পানীয় ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।