ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

চলো যাই বিজ্ঞান জাদুঘর

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১১
চলো যাই বিজ্ঞান জাদুঘর

পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে সে অনেক আগের কথা। কিন্তু হঠাৎ যদি এই শহরে আমরা বিশাল কোনো ডাইনোসরের মুখোমুখি হই, তাহলে কেমন হবে বলুন তো? আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন এটা কিভাবে সম্ভব? আসলে বিশাল এক ডাইনোসর রয়েছে রাজধানীর আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগরের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে।

সেখানে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়বে ওটি, দর্শকদের মনে হবে তারা বুঝি চলে এসেছেন ৬০০ কোটি বছর আগের পৃথিবীতে। মনে হবে এই বুঝি এগিয়ে আসছে একটি জীবন্ত ডাইনোসর ভয়ঙ্কর হুঙ্কার দিয়ে। কিন্তু ওটি আসলে এগিয়ে আসবে না আপনাকে ভীতসন্ত্রস্ত করে। ১৯৯০ সালে শিল্পী তপন কুমার দাস এই ডাইনোসরের ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। এর একটু দূরত্বে সাথেই রয়েছে মো. শাহজাহান মৃধার তৈরি সূর্যঘড়ি।

জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সর্বস্তরের প্রযুক্তিকে এদেশে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে আগারগাঁও শেরেবাংলানগরে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। এর আগে ১৯৬৬ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরিতে এদেশে প্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক জাদুঘরের যাত্রা শুরু। এটি শুরু হয়েছিল খুব স্বল্প কিছু সংগ্রহ দিয়ে। বর্তমানে এই সংগ্রহশালা বেড়ে হয়ে উঠেছে অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ।

৫ টাকার টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকলে শুরুতেই দর্শকদের চোখে পড়বে নিচ তলাতে ছয় কোনাকার কাচের ঘরে ছাদ থেকে ঝুলছে  ৬১ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৭ কেজি ভরের ফুকোর দোলক। এর একপাশে অ্যাকুরিয়ামে রয়েছে হরেক রকম রঙিন মাছ। যা দর্শনার্থীদের সমুদ্রের তলদেশে ভ্রমণের আকাঙ্খার জন্ম দেবে। মনে হবে যদি মাছের মত সাঁতরে বেড়ানো যেত সমুদ্রের তলদেশে।

 মনে পড়ে যাবে কারও কারও রাশিয়ার বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক আলেক্সান্দার বেলায়েভের সায়েন্স ফিকশান ‘উভচর মানুষ’-এর কথা, যে মানুষ একই সাথে সমুদ্রের বৈচিত্রপূর্ণ তলদেশে ঘুরতে পারে আবার চাইলে পৃথিবীতেও বাস করতে পারে। এ জাদুঘর খোলা থাকে সকাল ৯ টা থেকে ৪ টা ৪৫ পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারসহ অন্যান্য ছুটির দিন বন্ধ থাকে।

ভৌত গ্যালারি
দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এখানকার সংগ্রহশালাকে বিভিন্ন গ্যালারিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমেই রয়েছে ভৌত গ্যালারি। এই গ্যালারিতে বিজ্ঞানের নানা সূত্রের প্রমাণ দেখানো হয়েছে। রয়েছে নিউটনের প্রথম ও তৃতীয় গতি সূত্রের প্রদর্শনী। এছাড়া এই গ্যালারিটিতে বিভিন্ন সংরক্ষিত জিনিস প্রদর্শনের পাশাপাশি বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের নামে কয়েকটি কর্নার রয়েছে, যেমন- সত্যেন্দ্রনাথ বসু কর্নার, কুদরত-ই-খুদা কর্নার ও আনুশেহ আনসারি কর্নার।
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কর্নারে রয়েছে এই মহান বিজ্ঞানীর ব্যবহৃত এক্সরে টিউবের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। বিপরীত পাশেই কুদরাত-ই-খুদার কর্নারে আছে তাঁর ব্যবহৃত চশমা, ঘড়ি, কলম, সিল, সিলের প্যাড, পেপার ওয়েট প্রভৃতি।

এছাড়া এই গ্যালারিতে আছে বৈদ্যুতিক ঘন্টা, সিনেমাস্কোপ, হ্যালির ধুমকেতুর সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও বর্ণনা, ভাসমান বাগানসহ  ভৌত বিজ্ঞানের বিচিত্র বিষয়।

ভিতরে  রয়েছে চন্দ্র মানিচিত্র। তার পাশেই আনুশেহ আনসারির কর্নার। আনসারিই প্রথম নারী, যিনি সম্পূর্ণ নিজের খরচে  ২০০৬ সালে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে ঘুরে এসেছেন। এ কর্ণারে তাঁর ২টি ব্যাজ, পিন ও স্বাক্ষরিত একটি ছবি আছে।

শিল্পপ্রযুক্তি গ্যালারি ও তথ্য প্রযুক্তি গ্যালারি
আজকের পৃথিবী, আজকের সভ্যতা বলা চলে পুরোপুরিই প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি ছাড়া এসময়কে একেবারেই ভাবা যায় না। বাংলাদেশ এই প্রযুক্তিতে কতখানি এগিয়েছে তারই কিছুটা ধারবাহিক ইতিহাস স্বচক্ষে দেখার সুযোগ মিলবে ভৌত গ্যালারির পাশেই থাকা বিশাল শিল্পপ্রযুক্তি গ্যালারিতে প্রবেশ করলে।

এখানে সংরক্ষিত আছে সমুদ্রের গভীরতা নির্নয়ের যন্ত্র, পুরাতন গ্রামোফোন, আছে ১৯৬৫ সালে বিটিভির ব্যবহৃত প্রথম ক্যামেরা। আছে একটি ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোস্কোপ, যার মাধ্যমে বস্তুর দশ লক্ষ গুন বড় প্রতিবিম্ব দেখা সম্ভব।

আছে চট্টগ্রাম ইস্পাত কারখানা, চিনির কল, কর্ণফুলি কাগজ কল এবং হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মডেল, ৬০০ কেজি ওজনের বলাকা বিমানের একটি ইঞ্জিন, যা সোভিয়েত ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধুকে উপহার দিয়েছিল।

শিল্প প্রযুক্তি গ্যালারি থেকে একটু এগুলে সঙ্গেই রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি গ্যালারি। এই গ্যালারিতে আছে বিভিন্ন কম্পিউটার। যার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠবে কম্পিউটারের বিবর্তন। এখানে আছে ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশে আনা প্রথম এনালগ কম্পিউটার আইবিএম ১৬২০। পরমাণু কমিশন একসময় এটি ব্যবহার করত। এছাড়াও রয়েছে আইবিম ১৪০১, দেখতে অতিকায় আলমারির মতো। এই গ্যালারিতে সংযোজন করা হয়েছে আধুনিক টাচস্ক্রিন কম্পিউটার। যেখানে টাচ করলেই দর্শনার্থীরা দেখতে পান জাদুঘরের সব তথ্য। আছে একটি পুরাতন মুদ্রণ যন্ত্রসহ তথ্য প্রযুক্তির বিচিত্র নিদর্শন।

মজার বিজ্ঞান গ্যালারি
বিজ্ঞানকে যাদের কাছে মনে হয় নিরস বা কাঠখোট্টা তাদের কথা বিবেচনা করেই জাদুঘরের দ্বিতীয় তলায় রাখা হয়েছে ‘মজার বিজ্ঞান গ্যালারি’ নামে একটি গ্যালারি। এখানে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীরা মুখোমুখি হবেন বিচিত্রসব মজার বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের। এখানে রয়েছে মজার কয়েকটি আয়না, যার সামনে দাঁড়ালে নিজের চেহারা কোনটায় বামুন, কোনটায় লম্বা, কোনটায় আবার সঙ্কুচিত দেখায়। আয়নায় এই সমস্ত কর্মকা- দেখে এমনিতেই যে-কারো প্রাণে হাসির উদ্রেক হয়ে যায়। এখানে এমন যন্ত্র আছে যার মাধ্যমে ছায়াকে রঙিন দেখা সম্ভব।

ক্যালিডোস্কপ নামের একটি যন্ত্রে তিনটি সমবাহু ত্রিভুজের তিনবাহুর আদলে বসিয়ে রঙিন তরলের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে মনোরম দৃশ্য। ঊর্ধ্বমুখী বৈদ্যুতিক আর্কটি চমৎকার। পরিবাহি দুটি দন্ডের মধ্য দিয়ে ২৫ হাজার ভোল্ট বিভব পার্থক্য যুক্ত করলে  বিশেষ তড়িৎক্ষরণ সৃষ্টি হয়। তখন তার পাশের তিনটি  রিংয়ের ঘূর্ণন দেখে যে কারও দৃষ্টিভ্রম হতে পারে।

 মজার বিজ্ঞান গ্যালারির অপর এক কক্ষে রয়েছে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের ছবিসহ তাদের জন্ম-মৃত্যুর কথা ও তাদের অবদান সম্পর্কে তথ্য। গ্যালারিতে রোবট, লাভা ল্যাম্প, সৌরজগত এবং ভাসমান বলের মডেল আছে। এখানে আছে শব্দতরঙ্গের এমন এক যন্ত্র যাতে যাদুর কাঠির মতো এক লৌহ দ- দিয়ে আঘাত করলে বিচিত্র সুরের শব্দ বাজতে থাকে।

জীববিজ্ঞান গ্যালারি
পৃথিবীর বাইরে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি নেই এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছে অনেক জল্পনা-কল্পনা, রয়েছে অনেক জিজ্ঞাসা। এছাড়া পৃথিবীতে জীবের উদ্ভবই কিভাবে হলো তা নিয়েও বিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্ত নেই। এই জাদুঘরে জীববিজ্ঞানের জন্য রয়েছে আলাদা একটি গ্যালারি। এই গ্যালারিতে ঢুকলে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন  ৪০ ফুট দীর্ঘ এক নীল তিমির কঙ্কাল। এটি বঙ্গোপসাগর থেকে ১৯৮৮ সালে সংগৃহিত। যারা এতদিন যাবৎ বইপুস্তকে তিমির বিশালত্ব সম্পর্কে জেনে এসেছেন বা লোকমুখে শুনেছেন, তাদের মিলবে একটি মাঝারি আকৃতির তিমি কতখানি বিশালাকৃতির হতে পারে তা স্বচক্ষে দেখার সুযোগ। রয়েছে ১৯৯৬ সালের প্যানজেটিক ডলফিন।

এখানে প্রদর্শীত আছে মাতৃগর্ভের ভ্রণ থেকে ৯ মাস বয়স পর্যন্ত মানুষের বিকাশের চিত্র। পাশে ডিএনএ এবং আরএনএ’র মডেল। এছাড়া করাত মাছের সাদা কাটাযুক্ত করাতটি দুর্লভ সংগ্রহ।

স্টাফিং এবং অ্যালকোহলের দ্রবণে সংরক্ষিত আছে নানা ধরনের পশু পাখি সাপ ব্যাঙ। অক্টোপাস, সামুদ্রিক শামুক, বাজপাখি, বাদুড়, হনুমান, ঘড়িয়াল আর বনরুইয়ের সংগ্রহগুলো দৃষ্টিনন্দন।

পৃথিবীতে বহু জায়গা রয়েছে যেখানে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে লোকালয়ের পর লোকালয় ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা এই দৃশ্য হয়ত অনেক সময় জিওগ্রাফিক চ্যানেল বা খবরে দেখেছি। কিন্তু কখনই আগ্নেয়গিরর লাভা দেখতে কেমন তা সরাসরি দিখিনি। এখানে সংগ্রহে আছে ১৯৯৮ সালের ২৭ নভেম্বর জাপানের আসিমা দ্বীপপুঞ্জ থেকে সংগৃহিত লাভার অংশবিশেষ।

গ্যালারির একদিকের দেয়ালে রয়েছে ডাইনোসরের বিবর্তন ও বিলুপ্তির সচিত্র বর্ণনা। এছাড়া এখানকার পতঙ্গভুক ড্রসেরা বা সূর্যশিশির, ইউট্রিকুলারিয়া বা ঝাঁঝি , ডায়োনিয়া এবং কলসী গাছও যে কারও কাছেই  বিস্ময়কর মনে হবে।

তরুণ বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রকল্প উন্নয়ন গ্যালারি
তরুণ বিজ্ঞানীদের উৎসহিত করার জন্য এখানে আছে একটি গ্যালারি। এই গ্যালারিতে তরুণ বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত যেসব প্রকল্প জাতীয় বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সপ্তাহে প্রদর্শিত হয়েছে তাই-ই এই গ্যালারিতে স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রদর্শীত উল্লেখযোগ্য বস্তুর মধ্যে রয়েছে কাঠ সমতলকরণ মেশিন, রোড ব্যারিয়ার, ম্যাগনিফায়িং গ্লাস গ্রাইন্ডিং মেশিন, এয়ারকুলার, এয়ার ক্লিনারসহ আরও নানা কিছু।

গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সমূহ
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে একটি গ্রন্থগারও আছে। এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক প্রচুর বই রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক বেশ কিছু এনসাইক্লোপিডিয়া। তাছাড়া রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, জ্যোতির্বিজ্ঞান, কম্পিউটার-বিজ্ঞান, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, লাইফ সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ক বই। গ্রন্থগারটি অফিস চলাকালিন সময়ে খোলা থাকে।

জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর ত্রৈমাসিক ‘নবীন বিজ্ঞানী’ পত্রিকা, জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতা নিয়ে বিভিন্ন বই প্রকাশ করে থাকে। এখান থেকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের বার্ষিক প্রতিবেদন, তরুণ ও অপেশাদার বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রকল্প ‘উদ্ভাবন’ ও বাৎসরিক বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর প্রকাশিত পোস্টার, ফোল্ডার, লিফলেটও প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশ পর্যবেক্ষণ
মেঘমুক্ত রাতের আকাশ মানেই লক্ষ লক্ষ গ্রহ-নক্ষত্রের মিলনমেলা। তারাভরা ওই আকাশ প্রতিনয়তই আমাদের মনে সৃষ্টি করে নান বিস্ময়ের। বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষমাত্রই ইচ্ছে হয় ওইগুলি সম্পর্কে জানতে, ইচ্ছে হয় যদি সম্ভব হতে ওইগুলিকে আরেকটু ভালভাবে দেখার।

সেই ইচ্ছেটাই পূরণ করার তাগাদা থেকে প্রতি শনি ও রবিবার সন্ধ্যা থেকে দুই ঘণ্টা জাদুঘরের ছাদে চাঁদ, শুক্রগ্রহ, মঙ্গলগ্রহ, শনিগ্রহ, এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি, রিংনেবুলা, সেভেন সিস্টার্স, জোড়াতারা আর তারার ঝাঁক দেখানো হয় টেলিস্কোপের সাহায্যে। টেলিস্কোপে এই আকাশ পর্যবেক্ষনে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা।

এছাড়াও জাদুঘরে রয়েছে একটা সায়েন্স পার্ক। এই পার্কটা কেবল শিশু-কিশোরদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে আছে মিউজিক্যাল টিউব, আর্কিমিডিয়ামের স্ক্রু, সিমপ্যাথেটিক সুইং, সুইং পেন্ডুলামসহ  অনেক মজার মজার খেলার ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়  ১৫২৮, মে ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।