ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

বালু শ্রমিকদের বিবর্ণ জীবন!

জাহিদুল ইসলাম, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৪
বালু শ্রমিকদের বিবর্ণ জীবন! ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জীবনযুদ্ধে থেমে নেই খেটে খাওয়া মানুষের পথচলা। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে বিকেল কিংবা সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই চলে বালু শ্রমিকদের কাজ।



সব কাজই কষ্টের। বালু টুকরিতে ভরে কয়েক ধাপ পেরিয়ে মাথায় করে নিয়ে যেতে হয় গন্তব্যে। এসব শ্রমিকদের অধিকাংশের দিনশেষে শরীর চলে না ব্যথার ওষুধ ছাড়া।

কাজের কষ্টের তুলনায় মজুরি নিয়েও খুব সন্তুষ্ট নয় তারা। তবু পেটের দায়ে কাজ করতে হয় তাদের।

গাবতলী বালুর ঘাঁটে বালি ভর্তি কার্গো থেকে বালি নামানোর কাজ শুরু হয় সেই ভোরে। শ্রমিকরা সারি বেঁধে নিবিড়চিত্তে একনাগাড়ে কাজ করে চলেন।

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা এভাবেই একত্রে কাজ করেন প্রতিদিন। জীবনের সব স্বপ্ন তাদের এই সকাল সন্ধ্যায় বাঁধা।

প্রতিজন শ্রমিক দৈনিক টানতে পারেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টুকরি বালি। প্রতি টুকরি বালি টানার জন্য তারা মজুরি পান ১ টাকা ৫০ পয়সা।

নারী শ্রমিকদের কষ্টটা যেন একটু বেশি। স্বামী, সন্তান, সংসারের চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের। চোখে মুখে যেন ফুটে উঠেছে সেটা।

বাদ যান না বৃদ্ধরাও। যে বয়সে তাদের সন্তানের উপর নির্ভর করে আরাম-আয়েশে কাটানোর কথা, সে বয়সে তাদের অনেকেরও বইতে হয় সংসারের ঘানি। তাই খেটে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধও।

এই শিশুগুলোর ভবিষ্যতও যেন ঝুলে আছে এই কাঠের পাটাতনের মতো। বাবা-মা কাজ করছেন। আর তারা মেতেছে খেলায়। পাশের নদী। একটু অসাবধান হলেই ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা। তবু এভাবেই দিন কাটে তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।