ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

দুরন্ত শৈশব-১

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪
দুরন্ত শৈশব-১

ঢাকা: শৈশব! শব্দটি পড়েই অনেকে হয়তো স্মৃতির পাতায় হাতড়াতে শুরু করেছেন ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোকে। অনেকে হয়তো এতোটাই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়তে শুরু করেছেন যে- শৈশবের দুরন্তপনার সহযোগী সেই বন্ধু কোথায় বা কতোদিন দেখা হয়নি-ভেবে চোখে জল এসে গেছে।



আহা শৈশব! কোথায় হারালো সেই দুরন্তপনা? কোথায় চড়ুইভাতি, কোথায় গোল্লাছুট, কোথায় খড়কে বিছানা বানিয়ে তারা গোনা সেই রাত্রিগুলো?

হৃদয়পটে এই স্মৃতিকাতরতা আরও বেশি প্রবল হবে জীববৈচিত্র্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৩০টি অসাধারণ ছবি দেখলে!

মধুর শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানোর উপলক্ষ তৈরি করতে সেই ত্রিশটি ছবির প্রথম ১০টি দেখুন প্রথম কিস্তিতে!


উদোম গায়ে খেলছিল তিন বালক, এর মধ্যে নামলো ঝুম বৃষ্টি। কিন্তু খেলায় কোনো বাগড়া পেল না ‘ত্রিরত্ন’। হঠাৎ ক্যামেরা নিয়ে হাজির চিত্রগ্রাহক। কিন্তু ‘উদোম’ বালকদেরতো ‘লজ্জা’ ঢাকতে হবে। তাই কচু পাতা দিয়ে ‘লজ্জা‘ ঢেকে ক্যামেরার সামনে ফের উচ্ছ্বাসে মাতলো ত্রিরত্ন। এ ছবিটিও ইন্দোনেশিয়া থেকে তুলেছেন গেদে লিলা কান্তিয়ানা।

লম্বা বাঁশ নিয়ে তার মাঝে খুঁটি বেঁধে সেখানটায় দাঁড়িয়ে ‘বড় হওয়ার চেষ্টা’ দুই ইন্দো বালকের। আর সেই সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় দুই বালিকা। ছবিটি ইন্দোনেশিয়া থেকে ফ্রেমবন্দি করেছেন গেদে লিলা কান্তিয়ানা।


মহিষের পিঠে শান্তিতে ঘুমোচ্ছে পুঁচকে ভাইটি। তাইতো আদর করে মহিষটির মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে রাখাল বালক। ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চল থেকে তুলেছেন ইপোনেক গ্রাফিক।


সুউচ্চ পাহাড় থেকে স্বচ্ছ ঝরনা বইছে। ঝরনার পাদদেশের স্থানটিতে গোসল সেরে নিচ্ছে চার দুরন্ত শিশু। উড়ন্ত শিশুদের মগ দিয়ে পানি ছিটানো প্রতিযোগিতার দৃশ্য যেন শৈশবের সবচেয়ে বেশি আনন্দময় মুহূর্তের প্রতিচ্ছবি। ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে তুলেছেন অগোস অন্তরা।

পাশে প্রিয় বিড়ালটিকে রেখে ছিপ ফেলে মাছ ধরছে এক পুঁচকে মেয়ে। একটি একটি করে মাছ ধরছে সে, আর খাইয়ে চলেছে পুষিটিকে। ছিপ উঠিয়ে মাছ দেখতে পেয়ে যেমন খুশি পুঁচকে মেয়ে, তেমনি আরও একটা উঠলো বলে খুশিতে বাগবাগ পুষি। ছবিটি রাশিয়ার বরফ আবৃত এলাকা থেকে তুলেছেন সভেতলানা কভাসিন।

যেন কতো জনম জনমের বন্ধুত্ব। বন্ধু খরগোশটিকে দু’ হাতের মুঠোয় নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে রাশিয়ান বালক। আদুরে খরগোশটিও যেন জবাব দিয়ে যাচ্ছে বন্ধুর ‍আদরের। ছবিটি তুলেছেন এলেনা সুমিলোভা।

শৈশবের দুরন্তপনায় কোনো ‘শ্রেণী বৈষম্য’ নেই। ইউরোপে প্রতি মুহূর্তে খাবার অপচয় করা শিশুরাও যেমন খেলাধুলার উচ্ছ্বাসে মেতে থাকে সারাক্ষণ, তেমনি পরের বেলা খাবারের নিশ্চয়তা না থাকলেও পরিত্যক্ত গাড়ির চাকা নিয়ে খেলতে বাধা মানে না বুর্কিনাফাসোর শিশুরা। ছবিটি অস্কার তারদিওর তোলা।

একটা ফুটবল থাকলে বিশ্বজয়ে আর কী লাগে? এখন মায়ানমারের লোকেরা দাবি করতেই পারেন- বৌদ্ধ বালকেরা সুযোগ পেলে ফুটবল বিশ্বকাপ জয় করবে। তাদের দাবির পক্ষে অন্তত চান কওক হংয়ের তোলা ছবিটি জোরালো যুক্তি দিয়েই কথা বলবে।


মা-বাবা ব্যস্ত হয়ে গেছেন কোনো কাজে। সেই সুযোগে বাড়ির উঠোনে টিনের ড্রামে জমে থাকা পানিতে নেমে গেল তাজিকিস্তানের বালক। সঙ্গে নামাল দুই বন্ধুকেও। এ যেন সমুদ্রজয়ের উচ্ছ্বাস! এই উচ্ছ্বাস ক্যামেরাবন্দী করেছেন ড্যামন লিঞ্চ।

দুই ভারতীয় বালক রেসিংয়ে নেমেছে। তবে সেটা গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল নয়। শৈশবের দুরন্ত বাহন ‘বেয়ারিং’ নিয়ে। প্রতিযোগিতাটা খানিক সময়ের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ‘দ্রুতগামী’ বালক বনে যাওয়া। এ দু’জনের ‘রেসিং’ ফ্রেমবন্দি করেছেন সন্দি পাচেটান।

দুরন্ত শৈশব-২ দেখে স্মৃতি হাতড়াতে চোখ রাখুন বাংলানিউজে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।