ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

৪০ হাজার বছরের পুরনো গুহাচিত্রের খোঁজ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৪
৪০ হাজার বছরের পুরনো গুহাচিত্রের খোঁজ

ঢাকা: পাহাড়ের দেয়াল জুড়ে ছোট আকৃতির ষাঁড় আর শূকরের ছবি। এখানে-ওখানে মানুষের হাতের ছাপ।

ধারণা করতে পারেন, গুহাচিত্রগুলো কত বছর আগের?
এক হাজার, দুই হাজার বা পাঁচ-দশ, পনেরো। নাহ, ৪০ হাজার বছর। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গুহাচিত্র!

কয়েক দশক আগে ইন্দোনেশিয়ার মারোস ও প্যাংকেপ অঞ্চল থেকে এগুলো আবিষ্কার করা হয়। কিন্তু এতদিন গবেষণার স্বার্থে গুহাচিত্রগুলো সম্পর্কে তেমন কিছু জানানো হয়নি।

সম্প্রতি এগুলোর স্থান-কাল বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি।

বিশেষজ্ঞ মত, এগুলো প্রাগৈতিহাসিক শিল্পকলার আঁতুড়ঘর হিসেবে ইউরোপের অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

গুহাচিত্র গবেষণা দলের প্রধান হিসেবে ছিলেন গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব ও ভূ-রসায়নবিদ ম্যাক্সিম অবার্ট।

শোনা যাক তার মুখেই, সবার ধারণা আদিম মানুষের শৈল্পিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রভূমি হলো পশ্চিম ইউরোপ। এর মধ্যে গুহাচিত্র ও ছবি আঁকার নানা পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা যায়। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার চিত্রগুলো আমাদের নতুন করে ভাবাবে।   

প্রকৃতপক্ষে, আমাদের আবিস্কার প্রাগৈতিহাসিক ইউরোএশিয়ান সময় সম্পর্কে ধারণা পেতে সাহায্য করবে। আমরা আরও মূল উৎসে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, যোগ করেন তিনি।  

দক্ষিণ-পশ্চিম সুলাওয়েসির মারোস অঞ্চলে প্রায় অর্ধ শতাধিক পাহাড়ি গুহা রয়েছে। গুহা থেকে শিল্পকর্ম ছাড়াও প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেই সময়ের মানুষের ব্যবহৃত জিনিসপত্র খুঁজে পেয়েছেন।


বাংলাদেশ সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।