ঢাকা: আজ থেকে ৬০ বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয় বাবা-মা’র। দুই ভাইয়ের একটি মাত্র ছোটবোন।
আলাদা হওয়ার সময় তারা ছিলেন নিতান্তই শিশু, তাই বুঝতে পারেন নি বিচ্ছেদ কী জিনিস! তখন যোগাযোগ ব্যবস্থাও এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। এভাবেই কেটে গেল একে একে ছয় দশক। কেউ কারও খোঁজ জানেন না!
কিন্তু নিজের বোন বলে কথা! ভাই তো বসে থাকতে পারেন না। অ্যালানও ব্যতিক্রম নন। সাহায্য নিলেন ফেসবুকের। বোনকে ছেড়ে আসার আগে তিন ভাইবোনের যে একটি মাত্র ছবি ছিল, সেটি দিয়ে দিলেন ফেসবুকে।
৬০ বছরেরও পুরনো ছবি। ততোদিনে ছবিরও বেহাল দশা। কাওকেই খুব ভালো করে চেনা যায় না। কিন্তু তাতে কী, একই উদরের ভাইবোনের কী আর এতসব লাগে! অ্যালান ছবি পোস্ট করে দিলেন।
ওদিকে বোনটিও বসে নেই। তিনিও নানাভাবে খোঁজখবর করছিলেন ভাইদের। সৌভাগ্যক্রমে এক প্রতিবেশী ছবিটি তার নজরে আনেন। তারপর আর কী! যা হবার তাই।
বরং এতযুগ পর বোনকে খুঁজে পেয়ে ভাইয়ের প্রতিক্রিয়া শোনা যাক, গাড়ি থেকে নেমে প্রথম যখন দেখা হলো, আমরা দু’জনেই যেন হাতগুলো ছুড়ে দিলাম!
আর বোন! তার কী আর চোখের জল আটকায়! অঝোরে কাঁদছিলেন ভাই অ্যালানও।
তবে বড়ভাই স্টুয়ার্ট (৬৯) এই মহামিলনে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। তবে খুব দ্রুতই দেখা হবে বোনের সঙ্গে।
এদিকে বোনের মাধ্যমে এতযুগ পরে অ্যালানের দেখা হয় মায়ের সঙ্গেও। তিনি জানতেন না যে, মা বেঁচে আছেন। বর্তমান আলঝেইমারের রোগী মায়ের বয়স এখন ৮৮।
মার্গারেট জানান, এতবছর পরেও প্রথম দেখায় মা চিনতে পারেন ভাইকে। একসঙ্গে তাদের দু’জনের হাত ধরে শুধু কাঁদছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২ ,২০১৪