ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

‍সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের সাত উপায়

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৪
‍সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের সাত উপায়

ঢাকা: সুখী দাম্পত্য যাপন করতে হলে সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই অনেকে সঠিকভাবে করতে পারেন না।

ফলে দাম্পত্য অসুখীই হয়। তাহলে নিখুঁত জীবনসঙ্গী নির্বাচন করবেন কীভাবে?
 
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, একজন নিখুঁত জীবনসঙ্গী পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বিষয় রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা। কারণ সঙ্গীর সঙ্কটময় সময়ে এই বিষয়টিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।  

বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের সাতটি সঠিক পদ্ধতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেই পদ্ধতিগুলোই উপস্থাপন করছে বাংলানিউজ।

যার সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করা যাবে: এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া ভালো যার সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। এতে দুশ্চিন্তা বা দুঃসময়ে একাকিত্ব কাটবে, বিশেষত কারও সঙ্গে যখন কোনো কথা বলে মন হালকার করার জন্য ইচ্ছে জাগবে সেক্ষেত্রে!

মতের মিলের কেউ হোক জীবনসঙ্গী: সব বিষয়ে মিল থাকার দরকার নেই। বেশিরভাগ বিষয়েই আপনার মানসিকতার সঙ্গে মিল আছে এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিন। বাকিগুলো এমনিতে সমঝোতার মাধ্যমেই মিলে যাবে।

মনোবিজ্ঞানী ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ সীমা হিংগোৠানি বলেন, আজীবন একসঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই দু’জনের মধ্যে সমান ভালোবাসা কাজ করতে হবে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, যদি একজন বুফ সিনেমা দেখেন তবে অপরজন মনে মনে ভাববেন তিনি সিনেমাটি উপভোগ করছেন, অপরজনের উপভোগে নিজে সন্তোষ প্রকাশ করতে পারলে সেটা জীবনকে সুন্দর করে তুলবে।   

চলার গতিতে থাকবে ভারসাম্য: একজন যদি ধীরস্থির হন এবং অপরজন যদি উদ্যমী হন, তবে সেটা সুখী দাম্পত্যের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়েই চোখে চোখ রেখে তাদের চিন্তা ও প্রক্রিয়াকে মিলিয়ে নিতে পারেন।

পারিবারিক অবস্থানের গ্রহণযোগ্যতা: সংসার পাততে গেলে সঙ্গীর পারিবারিক অবস্থান বিবেচনার বিষয়টি স্বাভাবিক। একজনের পারিবারিক গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে অপরজনের পারিবারিক গ্রহণযোগ্যতা একেবারে মিলে যাবে এটা হয়তো কেউ প্রত্যাশা করেন না। তবু ঠিক আছে বলে মেনে নেওয়া উচিত।

থাকুক পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা: এমন কারও সঙ্গে জীবন কাটানো উচিত হবে না যিনি আপনাকে কিংবা আপনার ব্যক্তিত্বকে বা স্বপ্নকে শ্রদ্ধা করেন না। সুতরাং এমন কাউকে বাছাই করতে হবে যে আপনাকে বা আপনার পরিবারকে বাকি জীবনে সম্মান দেখাবে।

থাকতে হবে একসঙ্গে সময় কাটানোর মানসিকতা:  আপনাকে কাজের পাশাপাশি সময় দিতে পারবে এমন জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। শুধু কাজ করতে গিয়ে জীবনটা যাতে অর্থহীন হয়ে না যায় সে বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে।

আস্থার পাত্র: বিশ্বাসযোগ্য মানুষকে জীবনসঙ্গী করার বিকল্প নেই। একজনের প্রতি অপরজনের বিশ্বাস বা আস্থা না থাকলে দাম্পত্যে সুখী হওয়ার প্রশ্নই ‍ওঠে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।