ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

দুর্গোৎসবে ডিজিটাল ছোঁয়া

ইন্টারনেটের সহায়তায় প্রতিমার ডিজাইন

সাখাওয়াত আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪
ইন্টারনেটের সহায়তায় প্রতিমার ডিজাইন ছবি: রেহানা ছবি/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাবতলী (বড়বাজার) মণ্ডপ থেকে ফিরে: হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ পূজায় সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে শারদীয় দেবীর প্রতিমা নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু হয় ভক্তদের মধ্যে।

প্রতিযোগিতা অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু গতানুগতিক ধারা বাদ দিয়ে পছন্দসই প্রতিমা গড়তে এবার ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে কাজ করে চলেছেন অনেকে। যা সত্যিই অভিনব।

রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মিরপুরের বড়বাজারের শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দিরের পূজা মণ্ডপ ঘুরে এমনটিই দেখা গেছে।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা পছন্দ করছেন মনের মত ডিজাইন। সে অনুযায়ী প্রতিমা নির্মাণ কারিগরদের দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনা। কারিগররাও তাদের সুনিপুণ হাতের জাদুতে গড়ে তুলছেন মনের মত সুন্দর প্রতিমা।

মণ্ডপের প্রতিমা গড়ার প্রধান কারিগর বাসুদেব গোস্বামী বাংলানিউজকে বলেন, এবার বড়বাজার পূজা মণ্ডপের ডিজাইন করতে ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে বেছে নিয়েছেন পছন্দসই ডিজাইন। আর সে অনুযায়ী আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমিও অন্য কারিগরদের নিয়ে চেষ্টা করেছি তাদের মনের মত করে প্রতিমা গড়তে।

৪২ বছর প্রতিমা নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাসুদেবের। ডিজাইন বুঝে নিতে তার একটুও ঝামেলায় পড়তে হয়নি। তৈরি করেছেন ঠিক তেমনই একটি প্রতিমা, যেটার ডিজাইন ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এবারের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ ইমেইল আইডি খুলেছে পূজা উদযাপন কমিটি। ফেসবুকেও এ প্রতিমার সমর্থনে খোলা হয়েছে ফ্যানপেজ।

পূজা উদযাপন  কমিটির সহ-সম্পাদক ত্রিনাথ সাহা বলেন, বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। ইন্টারনেটের সাহায্য ছাড়া আজকাল কোনো কিছু হয় নাকি! এ প্রতিমার ডিজাইন নির্বাচনের জন্য আমরা ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছি। পাশাপাশি এ মণ্ডপের একটি ইমেইল আইডি ([email protected]) ও ফেসবুক পেজও খুলেছি আমরা।

অন্যদিকে পূজাকে উৎসবের রঙে রঙিন করতে কোনো আয়োজনের কমতি রাখেনি উদযাপণ কমিটি।

প্রতিমা নির্মাণের পাশাপাশি তারা পুরো বাজারেই আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছে। মহা অষ্টমী থেকে উৎসবের সব উপকরণই তৈরি থাকবে বলে তাদের দাবি।

সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, পূজা উদযাপনের জন্য সাজ-সজ্জা ও আনুষঙ্গিক খরচসহ আমাদের প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হবে। যার মধ্যে কেবল প্রতিমা নির্মাণেই আমাদের খরচ হচ্ছে ৫ লাখ টাকা।

গত ১২ বছর ধরে ওই বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পূজার মণ্ডপ করা হচ্ছে। এর মধ্যে তিনবার সেরা মণ্ডপের পুরস্কারও জিতেছেন বলে জানান পুরোহিত।

অপরদিকে প্রতিমার মূল কাঠামো ও সাজসজ্জা প্রায় শেষ। এখন চলছে অলংকরণ। অষ্টমীর আগেই মণ্ডপ পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানালেন আয়োজক ও কারিগররা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।