ঢাকা: বেশকিছু গুপ্ত সমাধিসহ সম্প্রতি দুই হাজার বছরের একটি পুরনো কবর খুঁজে পাওয়া গেছে সুদানে। তার চেয়ে বড় খবর কবরে পাওয়া গেছে ‘শয়তানের চোখ’।
বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য সেই গুপ্ত এলাকায় একচক্কর।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বেশকিছু গুপ্ত কবর, হাতে বানানো রুপালি আংটি, নামাঙ্কিত ঈশ্বরের ছবি ও পালিশ করা একটি চিনামাটির বাক্স খুঁড়ে পেয়েছেন। বাক্সটির গায়ে বড় বড় চোখ আঁকা।
একজন গবেষকের বিশ্বাস, চোখগুলো আসলে ‘শয়তানের চোখ’ অর্থাৎ শয়তানের নজর থেকে নিরাপত্তার জন্য দেওয়া।
২০০২ সালে ডাঙ্গেইল গ্রামের কাছে একটি পানি চলাচলের নালা খোঁড়ার সময় গ্রামবাসীরা এটি আবিষ্কার করেন। তারপর থেকে খোঁড়া শুরু করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
কবরটি সুদানে ‘কুশ’ রাজত্বের সময়কালের। প্রাচীন মেরো শহরকে (বর্তমান ডাঙ্গেইল গ্রামের সামান্য দক্ষিণে) ভিত্তি করে তারা একটি বিশাল অঞ্চল শাসন করত। এর উত্তর সীমান্ত রোমান শাসিত মিসর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সেসময় একজন রানীর দ্বারা শাসিত হতো কুশ সাম্রাজ্য।
সুদানের ন্যাশনাল করপোরেশন ফর অ্যান্টিকুইটিস অ্যান্ড মিউজিয়ামের (এনসিএএম) প্রত্নতাত্ত্বিক মাহমুদ সুলাইমান বশির বলেন, কবরটির সঠিক আকার আমরা এখনও জানতে পারিনি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
কবরটি খোঁড়ার জন্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে এনসিএএম। সম্প্রতি এ দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ‘এক্সক্যাভেশনস ইন দ্য মেরইটিক সেমেটারি অব ডাঙ্গেইল, সুদান’ শিরোনামের একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
যে যাই বলুক, বাংলানিউজের পাঠকরা নিশ্চয় কিছুটা হলেও অবগত হলেন ‘শয়তানের চোখ’ বিষয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪