ঢাকা: পরিবারে নতুন অতিথি কার না ভালো লাগে। ঘর আলো করে যখন একটি শিশু জন্ম নেয় তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় নানান পরিকল্পনা।

তবে সন্তান যদি হয় জমজ, তাহলে কখনো-সখনো বাবা-মায়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুম হারাম হয় পরিবারের প্রতিটি সদস্যের।
এমনটি ঘটেছে দক্ষিণ ওয়ালেস পন্টেপুলের দম্পতি কারেন ও ইয়ান গিলবার্টের। তাদের জমজ তিন মেয়ে এফফিয়ন, ম্যাডিসন ও পায়েজ। পোশাক থেকে শুরু করে তিনজনের জন্যই এক রকম সবকিছুই। কেবল পায়ের নেইলপলিশের রং ছাড়া।

তবে এ ব্যবস্থা ফ্যাশানের জন্য নয়, তিন মেয়েকে আলাদা করে চিনতে! তাদের ছোট্ট তিনটি মেয়ের চেহারাতে এত মিল যে আলাদা করতে হিমশিম খেতে হয় পরিবারের সবার।

আলাদা করে চিনতে এফফিয়নের নখে ফুসিয়া রং (ফুসিয়া ফুলের রং), ম্যাডিসনের পায়ে পুদিনারঙা সবুজ (মিন্ট গ্রিন) এবং পায়েজের নখে রক্ত বেগুনি (পারপল) রঙের নেইলপলিশ দেওয়া হয়।

মা কারেন বলেন, ওদের আলাদাভাবে চেনার জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো আমাদের। পরে আমাদের মাথায় আলাদা রঙের নেইলপলিশ ব্যবহার করার আইডিয়া আসে এবং এটা কাজ করে।

এখন ওদের নিয়মের মধ্যে রাখতে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। সময় মতো ওদের খাবার দেওয়া, গোসল করানো এবং ন্যাপি বদলাতে কোনো অসুবিধা হয় না। রং দেখেই আমরা নির্ধারণ করি কার কি দরকার।
কারেন অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক বাবা ইয়ান মেয়েদের নামের ও রঙের প্রথম বর্ণ মিলিয়ে নেইলপলিশের রং নির্ধারণ করেছেন, যেন তাদের কখনও ভুল না হয়।

তারা আশা করেন, বাচ্চারা যখন বড় হবে তখন চেহারায় পরিবর্তন আসার পাশাপাশি আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যও গড়ে উঠবে। তখন তাদের চিনতে আর কোনো অসুবিধা হবে না।

দক্ষিণ ওয়ালেসের পন্টিপুলের এই পরিবার প্রতি সপ্তাহে ১২০ প্যাকেট ন্যাপি এবং ৮৪ বোতলের বেশি ফরমূলা দুধ কেনেন সন্তানদের জন্য। তবে মজার বিষয় এখন থেকেই ক্যাজুয়ালটি (বিবিসি ওয়ানে প্রচারিত অনুষ্ঠান) এবং পারিবারিক নাটক স্টেলাতে অভিনয় করে নিজেদের খরচ এরা নিজেরাই বহন করে।
কারণ তাদের মধ্যে এত মিল যে একজন অনায়াসেই অন্যের চরিত্রে অভিনয় করতে পারে এবং নির্মাতাও তিনজনকে নিয়েই কাজ করেন। যেন একটি শিশু ক্লান্ত না হয়ে পড়ে।

কারেন বলেন, বয়স এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এরা টিভি স্টার হয়ে গেছে। এর মধ্যেই ওরা আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ এনে দিয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই ওদের জন্ম হয় এবং তিনজনেরই ওজন ছিল ৩১ পাউন্ড।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৪