নারী আর পুরুষের মস্তিষ্ক আসলেই ভিন্নরকম। গবেষকরা বলছেন, দুই লিঙ্গের দুজনকে একই শিক্ষা দেওয়া হলে দেখা যাবে নারীরাই এগিয়ে থাকেন।
৩১ হাজার নর-নারীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয় যাদের বয়স ৫০ এর বেশি। আর তাদের নেওয়া হয় বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে। মস্তিষ্কের শক্তি নিয়ে তাদের ওপর চালানো হয় তিনটি বিশেষ পরীক্ষা।
প্রথমেই ধরা যাক সংখ্যাতাত্বিক পরীক্ষা। এই বিভাগে প্রত্যেককে ৫টি করে প্রশ্ন দেওয়া হয়- যেমন একটি ছাড়কৃত মূল্যে বিক্রিত গাড়ির নতুন অবস্থায় মুল্য কত হবে। এছাড়া ১০টি শব্দের তালিকা দেখানোর পর তা বলতে বলা হয়। আর তৃতীয পরীক্ষা ছিলো মুখস্থ বলার দ্রুততা নিয়ে। এক মিনিটে কতটি পশুর নাম বলা সম্ভব।
উত্তর ইউরোপের ৫০, ৬০, ৭০ কিংবা ৮০ বছর বয়সের নারীরা এসব টেস্টে পুরুষদের টপকে গেছে অনায়াসেই। তবে দক্ষিণ ইউরোপে চিত্রটি ভিন্ন। এখানে বয়ষ্ক নারীদের তুলনায় বয়ষ্ক পুরুষরা অপেক্ষাকৃত ভালো করেছে। এদের জীবনের শুরুর দিকটায় দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে দরিদ্রদশা ছিলো। তবে ১৯৪০ এর দশকের পরে যাদের জন্ম তাদের মধ্যে মেধার পরীক্ষায় নারীদের এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে অংকের পরীক্ষায় নারীদের চেয়ে পুরুষরা এগিয়ে। তা দেশ-কাল-বয়স সকল ভেদেই। তবে সময়ের সাথে সাথে পার্থক্যের মাত্রা কমেছে।
অস্ট্রিয়ার ইন্টারন্যালনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যপলায়েড সিস্টেমস অ্যানালিসিস এর গবেষকরা বলছেন, জীবনযাত্রা যত উন্নত হয়েছে নারীরা তার মাধ্যমে নিজেকে অনেক বেশি এগিয়ে নিতে পেরেছেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে নারী ও পুরুষকে শিক্ষা-দীক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হলে নারীরাই বেশি ভালো করছেন। শুধুই অংক কষায় পুরুষরা এখনও সামান্য এগিয়ে।
বাংলাদেশ সময় ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৪