আমারা জানি প্রতিটি রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আলাদা। স্বতন্ত্র তাদের পছন্দ-অপছন্দ।

মেষ রাশির জাতক-জাতিকা স্বাধীনচেতা হন। এরা ভারী গহনার বদলে হালকা ও আধুনিক গহনাই পছন্দ করেন বেশি। মেষ রাশির জাতক-জাতিকা গহনার সঙ্গে আধুনিক ঘড়ি ও ছোট দুল পছন্দ করতে পারেন। স্বভাব অনুযায়ী লাল রঙের গহনা ব্যবহার করা শুভ।
বৃষ রাশি
এই রাশির অধিপতি শুক্র প্রেম ও সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই এ রাশির জাতক-জাতিকারা গহনা পরতে খুবই ভালোবাসেন। বৃষ রাশি সাধারণত ঐতিহ্যের ছোঁয়া আছে কিন্তু হালকা গয়না পছন্দ করেন। হিরে এদের বিশেষ পছন্দ। বৃষ রাশির আধিপত্য গলা ও ঘাড়ে, তাই নেকলেস এবং লকেট এ রাশির জাতক-জাতিকাদের সবচেয়ে পছন্দের।
মিথুন রাশি
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা জীবনের প্রতিটি বিকল্পকে পরখ করে দেখতে চান। এ কারণে গহনার ক্ষেত্রেও তাদের পছন্দ সময় অনুযায়ী বদলাতে থাকে। নতুন ধরনের গয়নার জন্য তারা বড় বড় দোকান থেকে শুরু করে রাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলিতেও কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন। এ রাশির জন্য গয়না তাদের কল্পনার প্রতীক।
কর্কট রাশি
কর্কট রাশির জাতকেরা সংবেদনশীল ও ভাবুক প্রকৃতির। এ কারণে নিজের গয়নার সঙ্গে তাঁদের বিশেষ সম্পর্ক থাকে। পুরনো দিনের গহনাই হোক বা দিদা-ঠাকুমার পুরানো গহনা, সে সবই তারা সুন্দরভাবে ব্যবহার করেন। ‘মুনস্টোন’ রত্ন দিয়ে তৈরি গহনা এদের পক্ষে শুভ। আধুনিক গহনার বদলে কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা একটু পুরনো গহনাই বেশি ভালোবাসেন।
সিংহ রাশি
সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা বহির্মুখী প্রকৃতির হন। এ রাশির জাতক-জাতিকাদের মতে, কোনো গহনাই তাদের জন্য অনুপযুক্ত নয়। এ রাশির অধিপতি সূর্য, তাই সোনার গহনা তাদের উপযুক্ত। সিংহ রাশির জাতকেরা গহনার আকারকে বেশি গুরুত্ব দেন, তাই বড় ও জমকালো গহনা তাদের বিশেষ পছন্দ।
কন্যা রাশি
কন্যা রাশির জাতকেরা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। এদের এমন গহনা পছন্দ, যা তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখে। এ রাশি শুদ্ধতার প্রতীক, তাই তাদের উন্নত গুণমান ও বিশেষ কারুকার্জের গহনা পছন্দ। প্রাকৃতিক জিনিস, যেমন শঙ্খ, মাটি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি গহনাও তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

তুলা রাশির জাতকেরা নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী গহনা পরেন। এ কারণে এরা সাধারণত সবকটি গহনার ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেন। তুলা রাশির জাতকদের ফুল, লতাপাতাযুক্ত ডিজাইনের গহনা বিশেষ পছন্দের।
বৃশ্চিক রাশি
রহস্যময় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এ রাশির জাতক-জাতিকারা এমন গহনাই পছন্দ করেন, যা তাদের বেশি করে আকর্ষণীয় করে তোলে। এ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য গহনা তাদের আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার একটি মাধ্যম। পুরনো চিহ্ন দেওয়া লকেট, আংটি তাদের বেশি পছন্দের।
ধনু রাশি
ধনু রাশির জাতকেরা সাধারণত ভ্রমণপিপাসু হন। তাই ভ্রমণের সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে কেনা গহনা তাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকে। এ রাশির জাতক-জাতিকারা তাদের পছন্দকে নির্দিষ্ট কোনো ধারণায় সীমাবদ্ধ রাখেন না।
মকর রাশি
মকর রাশির জাতকেরা মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষ হয়ে থাকেন এবং ব্যবহারিক হন। ঐতিহ্যপূর্ণ, চিরাচরিত ও দামি গহনায় তাদের ভালো দেখায়। তারা ভারী গহনা অথবা হাত দিয়ে তৈরি দামি গহনা পছন্দ করতে পারেন।
কুম্ভ রাশি
কুম্ভ রাশির জাতকেরা পুরানো দিনের বা সাধারণ গয়নার পরিবর্তে অন্য কোনো ধরনের গহনা পছন্দ করেন। সনাতনী সোনা অথবা রুপোর গহনা তাদের বিশেষ পছন্দের নয়, তারা নতুন ধরনের গহনা পছন্দ করে থাকেন। প্লাটিনামের গহনা তাদের পক্ষে শুভ।
মীন রাশি
জলের সঙ্গে মীন রাশির সম্পর্ক রয়েছে। তাই সমুদ্রের তলার পাথর দিয়ে তৈরি গহনা এ রাশির জাতকদের খুব পছন্দ। এ রাশির জাতিকারা নূপুর পরতে ভালোবাসেন।
জানতে চান আপনার প্রেম, বিয়ে, চাকরি, ব্যবসা!

একজন চিকিৎসক যেমন রোগীকে সঠিক মাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করে সুস্থ করে তোলেন, তেমন একজন জ্যোতিষ গবেষক মানুষের জীবনের সমস্যার জটিল কারণগুলিক গ্রহ,নক্ষত্র, দশার নির্ভুল বিচার করে সমস্যার কারণ বের করে আনতে পারেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বিচার করতে কতগুলি জিনিস খুবই প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে প্রধান বিষয়গুলি হলো, রাশি, লগ্ন, গ্রহের অবস্থান, তিথি, নক্ষত্র বিচার, জাতকের গণ,পক্ষ ইত্যাদি।
জ্যোতিষ মতে ১২টি রাশি, ৯টি গ্রহ, ২৭টি নক্ষত্র, ১৬টি তিথি, ৩টি গণ ও দু’টি পক্ষের বিচার করে একজন মানুষের জীবনের সমস্যা নির্ধারণ ও তার সমাধানের পথ নির্ণয় করতে হয়।
বিষয়গুলিকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ বিভিন্ন অঙ্কের মাধ্যমে তৈরি হয় কুষ্ঠি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জাতকের জন্ম তারিখ, স্থান, সময় ইত্যাদি। প্রায় ৭৯টি বিষয় একত্রিত করে নির্ভুলভাবে বিচার করে যেকোনো মানুষের জীবনের চড়াই উতরাই অথবা তার জীবনে কখন ভালো দিক আবার কখন বা মন্দ সময় আসতে চলেছে তার একটা ধারণা করা হয়।
তবে সমস্যা জানাটাই শেষ কথা নয়। এর পরের ধাপটি আছে সমস্যা সমাধানের। সমাধানের সময় দেখতে হয় জাতকের বাস্তুজীবন। অর্থাৎ, সে যে স্থানে বসবাস করছে বা যে স্থানে সে কাজ করছে সেই স্থানের পরিস্থিতি।
যদি সেই স্থানের কোনো দোষ দেখা দেয় তবে সে স্থানের বাস্তুদোষ সংশোধন করতে হয়। এসব কিছুই বেশ জটিল গাণিতিক পক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। আর এ গাণিতিক প্রক্রিয়ার সূক্ষ্মতার উপরেই নির্ভর করে সম্পূর্ণ জ্যোতিষ বিজ্ঞান।
অনেকে মনে করেন জ্যোতিষ শুধুমাত্র একটি ধর্মের মানুষদের চর্চার বিষয়। কিন্তু প্রাচীন গ্রিস, মিশর, ব্যাবিলনসহ ভারতীয় উপমহাদেশে এ বিদ্যার গভীর চর্চা শত শত বছর ধরে চলে আসছে। যা অভ্রান্ত ও নির্ভুল।

ভারতীয় প্রখ্যাত জ্যোতিষী রুবাই দীর্ঘদিন এসব বিষয়ে নিয়মিত জানাচ্ছেন বাংলানিউজের পাঠকদের। বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে তার ভবিষ্যদ্বাণীও অনেকটা প্রমাণিত কিন্তু পাঠকের জিজ্ঞাসা অপরিসীম। তারা আরও নানা বিষয় জানতে চান। কিন্তু সেগুলোর জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত।
বাংলানিউজ ও বাংলানিউজ রাশিফল পাঠককে সবসময় দিতে চায় ভিন্নতার স্বাদ। কারণ পাঠকের চাহিদাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।
বাংলানিউজের অগণিত পাঠকের চাহিদা বিবেচনায় তাই জ্যোতিষ রুবাইর নেতৃত্বে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল নির্বাচিত করেছি আমরা। এই বিশেষজ্ঞ প্যানেল আপনার পাঠানো তথ্য-উপাত্ত ও আপনার সমস্যা ঘেঁটে মেটাবে মনে জমে থাকা সব প্রশ্নের উত্তর।
যারা রাশি, লগ্ন, গণ, তিথি, বাস্তুশাস্ত্রসহ মনের বিভিন্ন প্রশ্নের অবসান ঘটাতে চান তারা যোগাযোগ করুন এই মেইলে: [email protected]
ফিরতি মেইলে জানানো হবে বিস্তারিত নিয়ম-কানুন। সব জেনে পুনরায় মেইল করলে নির্দিষ্ট সময় পর জানতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল।
মনে রাখবেন বাংলানিউজ এই যোগাযোগের মাধ্যম মাত্র। পাঠককে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪