জয়পুরহাট: হাজার বছরের পুরনো ও উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ জয়পুরহাটের বারো শিবালয় শিবমন্দিরটি প্রতিনিয়ত ঐতিহ্য সন্ধানী পর্যটকদের কাছে টানছে।
জেলার ছোট যমুনা নদীর কোল ঘেষে পুরনো জোড়া বট-পাইকরের শান্ত ছায়ায় নিরিবিলি পরিবেশে এক গুচ্ছ প্রাচীন মন্দিরের সমষ্টি এটি।
মন্দিরটি মারোয়াড়ি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থস্থান হলেও এটি সব ধর্মের মানুষকেই আকৃষ্ট করে। শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দৃষ্টি নন্দন এই বারো শিবালয় মন্দিরটি বেল আমলায় অবস্থিত।
প্রায় এক হাজার বছর পূর্বে ভারতের মুর্শিদাবাদের জমিদার রাজীব লোচন এ মন্দিরটি নির্মাণ করেন বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন। মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ফাল্গুনের চতুর্দশীতে (শিব রাত্রি) মন্দির চত্বরে বসে ধর্মীয় মেলা।
বিভিন্ন পূজা- পার্বণে ব্যাপক ভক্ত সমাগমের কথা বিবেচনায় রেখে তৈরি করা হয় মন্দির প্রাঙ্গণের দক্ষিণ ভিটায় পাঁচ কক্ষের বড় অতিথিশালা, পশ্চিম ভিটায় রন্ধনশালা ও মাধ্য স্থানে একটি হোমঘর।
এছাড়া, শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার মেলায় পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জেলাসহ পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে মারোয়াড়ি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা কাউর তুলে শিবের মাথায় পানি ঢালে। পরে, পূজা-অর্চণা শেষে তারা গঙ্গার জলে পূণ্য স্নান সেরে বাড়িতে ফেরে।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাচাঁদ বাজলা বাংলানিউজকে জানান, মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের পূজা-অর্চণার জন্য নদীর তীরে উন্নত মানের ঘাট তৈরির বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে, এখনো কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪