ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

বিশ্বের ভয়ঙ্কর ৬ সেতু

জাকির হোসেন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০
বিশ্বের ভয়ঙ্কর ৬ সেতু

সব সেতুই প্রয়োজন মেটায়। অনেক সময় দূরত্ব কমায়।

কিন্তু বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন কিছু সেতু আছে যেগুলো রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আকৃতি, আয়তন এবং উচ্চতার কারণে এসব সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল চরম বিপদসঙ্কুল যাত্রার মতোই।


কলোরোডার রয়েল জর্জ ব্রিজ: যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঝুলন্ত সেতু রয়েল জর্জ ব্রিজ। এর উচ্চতা রীতিমতো শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়। সেতুটি আরাকান নদী উপত্যাকায় অবস্থিত। এর উচ্চতা ৯৬৯ ফুট এবং লম্বায় ১২৬০ ফুট।


ফান্সের অ্যাগুইলা ডি মুদি ব্রিজ: সেতুটির উচ্চতাই এত বেশি যে নিচের দিকে তাকানো যায় না। দুই পর্বতের মাঝে সেতুটির অবস্থান। তবে সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে সেতুটি আয়তনে ছোট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২৬০৫ ফুট উচ্চতায় এর অবস্থান।


সুইজারল্যান্ডের ট্রিফ সাসপেনশন ব্রিজ: এটি সবচেয়ে দীর্ঘ এবং সুউচ্চ পায়ে হাঁটার ঝুলন্ত সেতু। ট্রিফ ২০০৪ সালে নির্মাণ করা হয়। সুইজারল্যান্ডের গ্রাডমেন শহরে পর্বতমালায় এটি অবস্থিত। সেতুটির উচ্চতা ৩২৮ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৫৫৮ ফুট।

নর্দান আয়ারল্যান্ডের ক্রিক-এ-রেডি রোপ ব্রিজ: বহু পর্যটক সেতুটির ওপর দিয়ে খুব সহজেই পায়ে হেঁটে পার হয়েছেন। যদিও সেতুটি ভয়ঙ্কর, তবু মাছ শিকারিরা সেতুটি বেশি ব্যবহার করেন। রশির তৈরি সেতুটি পর্যটকদের বেশি আকৃষ্ট করে। এটি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের অ্যানট্রিম কাউন্ট্রির ব্যালিনটয় এর কাছে অবস্থিত। সেতুটি ৬৫ ফুট লম্বা এবং পর্বত থেকে ১০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।

কানাডার কেপিলান সাসপেনশন ব্রিজ: সেতুটির ওপর দিয়ে হেঁটে পার হওয়া খুবই ভয়ের। সবুজে ঘেরা বনের মাঝে এর অবস্থান। সেতুটির উচ্চতা, সরুত্ব এবং খুব বেশি নড়াচড়া ভয়ের অন্যতম কারণ। ১৮৮৯ সালে প্রথম সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার নর্থ ভানকোভারের কাপিলান নদীর ওপর সেতুটির অবস্থান। ৪৫০ ফুট লম্বা এবং উচ্চতা ২৩০ ফুট।

চীনের সিদু রিভার ব্রিজ: ২০০৯ সালের নভেম্বরে সেতুটি যখন উদ্বোধন করা হয় তখন পর্যন্ত এটিই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু। চীনের হুবি প্রদশের জর্জ নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির উচ্চতা ১৫৫০ ফুট।

বাংলাদেশ সময় ০৩১০, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।