দূর ফ্রান্সের প্যারিসে নয়, বাংলাদেশেই আছে একটি প্যারিস রোড। মতিহারের সবুজ চত্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষ-আচ্ছাদিত একটি রাস্তার নাম ‘প্যারিস রোড’।
দেশের আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে এরকম সুউচ্চ গাছের বিন্যাস নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমপাড়া ঘেঁষে রোডটি শেরে-ই-বাংলা হল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কটি অবকাঠামো আছে তার মধ্যে প্যারিস রোড সহজেই দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়। ইদানীং দেশের দূরদূরান্ত থেকে শিাসফরে আসা দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেও বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া গেছে। তাদের অনেকেই মত পোষণ করেছেন যে, তারা শুধু প্যারিস রোড দেখার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় এসেছেন।
সাতক্ষীরা থেকে আগত দর্শনার্থী সারমীন নাহার বলেন, পথের দু পাশে এই গাছগুলো আর এত সুন্দর পরিবেশ সত্যিই মনে রাখার মতো। বড় ভাইয়ের কাছে এ প্যারিস রোডের কথা শুনে আমার খুবই ইচ্ছা হয়েছিল দেখার জন্য, আজ তা দেখে সত্যিই আমি অভিভূত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের কাছেও রয়েছে রাস্তাটির আবেগমিশ্রিত গুরুত্ব। বিকেল হলেই শিার্থীরা তাদের প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এখানটিতে। রাস্তার দু পাশে বন্ধুরা মিলে দীর্ঘণ আড্ডা দেয়। আবার এই রাস্তার সাথেই মিশে আছে শিার্থীদের অনেক আনন্দ-বেদনার কাহিনী। কেননা ক্যাম্পাসে কোনও আনন্দঘন মুহূর্ত এলে শিার্থীরা এই রাস্তাটিকেই বেছে নেয়। তেমনি অনেক দুঃখের ঘটনার চূড়ান্ত ত্রে এটি। ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিটি সংঘর্ষের কালের সাী বলা চলে রাস্তাটিকে।
এছাড়া বিকেল ও রাতের বেলায় রাবির বিভিন্ন বিভাগের শিকেরা এই রাস্তাটিকে হাঁটাহাটির জন্য বেছে নেন। আবার কেউ কেউ অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দেন প্যারিস রোডের পাশে গড়ে ওঠা সিমেন্টের বেঞ্চগুলোতে। কেউ বা আবার মনের সুখে গান করেন। প্রতিটি শিার্থীরই ছোট বড় কোনও স্মৃতি এই রাস্তাটিকে ঘিরে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৮১২, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০