প্রাকৃতিক সম্পদ আর সৌন্দর্যের অপার সম্ভাবনা ছড়িয়ে আছে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় দাঁড়িয়ে থাকা এ দ্বীপটি যেমন প্রাণী ও উদ্ভিদসম্পদে ভরপুর, তেমনি রয়েছে খনিজসম্পদ।
নিঝুম দ্বীপে খনিজ বালি ছাড়াও রয়েছে বহু প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ। ২০০৭ সালের সরকারি এক জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে নিঝুম দ্বীপে ৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির পাখি, ১৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২১ প্রজাতির বৃক্ষ ও ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম রয়েছে। এছাড়া দ্বীপে ৩০ হাজার মানুষের সাথে বসবাস করছে প্রায় ৪০ হাজার হরিণ, যা বৃদ্ধি করেছে দ্বীপের সৌন্দর্য ও সম্পদ।
নিঝুম দ্বীপের পূর্বনাম ছিল বাউলার চর। দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ব্যাপক বালি থাকায় এলাকাবাসী এর নাম রেখেছিল ‘বাউলার চর’। দ্বীপের এসব বালির ওপর গবেষণা করে খনিজ বালির সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ ও বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন। এছাড়া গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অসিত রঞ্জন পাল।
এক গবেষণায় বলা হয়েছে নিঝুম দ্বীপের বালিতে Magnclid, Garnelzircon, Uraliam, Selecon I Rutple জাতীয় অতি মূল্যবান পদার্থ রয়েছে যা লৌহশিল্প, গ্লাসশিল্প ও নিউকিয়ার প্লান্টের জন্য জরুরি ও মূল্যবান উপাদান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার বা সরকারি সংস্থাগুলো নিঝুম দ্বীপের বালির ওপর অব্যাহত গবেষণা চালিয়ে গেলে আরো বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক খনিজ বালির সন্ধান পাওয়া যাবে, যা দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৭২০, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০