ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১০
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব

তিরিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ নির্যাতিত নারী এবং অগণিত পরিবারের কষ্টভোগের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু যাদের কারণে জাতির এই কষ্টভোগ, তাদের সহযোগী সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনও হলো না।

তাই বিজয় দিবসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে সামনে রেখে ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে শুরু হলো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তিন দিনব্যাপী বিজয় উৎসব ২০১০।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টায় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন ৪০ জন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে ছায়ানটের শিশুশিল্পীরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসান আরিফ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর, রামেন্দু মজুমদার, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ফকির আলমগীর, লায়লা হাসানসহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন সদস্য।

‘জেনে নাও শহীদ যোদ্ধা বীর/যুদ্ধাপরাধীরা আবারও নতশির’ সেøাগান দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একযোগে রাজধানীর ছয়টি মঞ্চে চলবে এ উৎসব। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও ১৪ ডিসেম্বর থেকে টিএসসির সড়কদ্বীপ, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর, রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, দনিয়া বর্ণমালা আদর্শ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে এবার বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানে থাকবে নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত, স্বরচিত কবিতাপাঠ, শিশু সংগঠনের পরিবেশনা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পরিবেশনা।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু খেতাবপ্রাপ্ত ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ঘোষণা করেন ও জানান কে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন ‘আমাদের এখানকার উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা এসেছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তাদের অভিনন্দন। আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সরকারের প্রতি প্রয়োজনে আরও চাপ সৃষ্টি করতে হবে। ’

শামসুর রাহমানের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নুর, বিজয় উৎসবের ঘোষণা পাঠ করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। এছাড়াও ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কয়েকজন তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির কথা দর্শকদের সামনে ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০২০, ডিসেম্বর ১৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।