দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিত্যক্ত রানওয়ে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর। সেখানে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অনুদান হিসেবে পাওয়া তিনটি বিমান নিয়ে প্রথম যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর।
বিমান সেনা ও টেকনিশিয়ান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবদানকে স্মরণ করতে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আয়োজন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা বৈমানিকদের স্মৃতিচারণ ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ‘একাত্তরের যাত্রী’।
‘একাত্তরের আকাশ সৈনিক’ শিরোনামের অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তম। সভাপতিত্ব করেন ‘একাত্তরের যাত্রী’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা-লেখক হারুন হাবীব।
একাত্তরের আকাশযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বৈমানিক মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শামসুল আলম বীর উত্তম, ক্যাপ্টেন বদরুল আলম বীর উত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীর উত্তম, ক্যাপ্টেন সাহাব ইউ আহমেদ বীর উত্তম, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীকসহ একাত্তরের বেশ কজন আকাশযোদ্ধা।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, বীর উত্তম জানান বাংলাদেশ এয়ারফোর্স গঠিত হওয়ার ইতিহাস। অন্যান্য বক্তারা প্রত্যেকেই ওই সময়ে তাদের নিজস্ব যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধনীতি ছিল হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতি। এ বাহিনী কখনো নিজেরাই, কখনো ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহায়তায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের অপারেশন বেশ দক্ষতার সঙ্গেই করতে সক্ষম হয়েছিল। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বাহিনী মোট ৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে।
প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয় একাত্তরে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আলোকচিত্র। এগুলির মধ্যে রয়েছে ওই সময়ের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, বিমান হামলার বিভিন্ন স্পট, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর ও রানওয়ের চিত্র, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানসহ বিভিন্ন আকাশযোদ্ধার আলোকচিত্র।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৩৫, ডিসেম্বর ৭, ২০১০