পেশায় ছিলেন শিক্ষক, আইনজীবী ও বিচারক। আবার ফিরে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ভোলারাম ভারতের আসাম রাজ্যের গোয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার জন্য। ‘জ্ঞানার্জনের কোন বয়স লাগে না,’ এমনটিই বিশ্বাস করেন ভোলারাম।
এই মজার মানুষটি পিএইচডির জন্য বেছে নিয়েছেন মজার বিষয়। তিনি গবেষণা করবেন শঙ্করদেবের নয়া-বৈষ্ণববাদ নিয়ে।
ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে ভোলারাম কারাবরণ করেছিলেন মাত্র ১৯ বছর বয়সে। স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার আগে দু মাস কাটান জেলখানায়। পরে পড়াশোনা করেন আইন বিষয়ে।
ভোলারামের ভাষায়, ‘ঘটনাবহুল ১০০ বছর পার হলো। কত কিছুই না করলাম! ১৯৪৫ সালে শিক্ষকতা আর কগ্রেসের রাজনীতি ছেড়ে আইন বিষয়ে পড়লাম। পরে ম্যাজিস্ট্রেট হলাম। বিচারক হিসেবে অবসরে গেলাম ১৯৭১ সালে। ’
শতবর্ষী এই মানুষটির তারুণ্য দেখে অবাক হয়েছেন অনেকে। আসামের গভর্নর এবং গোয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জে বি পাটনায়েক বলেন, ‘সত্যিই আজকের দুনিয়ায় ভোলারামের মতো লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। আমার বিশ্বাস তিনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আদর্শ হয়ে থাকবেন। ’
লাঠি হাতে হাঁটলেও ভোলারাম কিন্তু বেশ প্রাণবন্ত। টেলিভিশনে ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালোবাসেন। আর বেশ আগ্রহী পাঠক তো বটেই।
পাঁচ ছেলে, এক মেয়ে, দশ নাতি-নাতনি আর এক পুতি নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাছেন ভোলারাম। ‘সবসময় হাসি মুখে থাকতে ভালোবাসি। সুখেই থাকতে চাই,’ এ জগতে যেন ভোলারামের এতটুকুই চাওয়া।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০২০, ডিসেম্বর ৭, ২০১০