১৯১৩ সালের ৭ আগস্ট বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল তৎকালীন সচিবালয়ের (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) একটি কক্ষে ‘ঢাকা জাদুঘর’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ২৫ আগস্ট ১৯১৪ সালে ৩৭৯টি নিদর্শন নিয়ে ঢাকা জাদুঘর দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
পরে স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের দ্বারোঘাটন করা হয় ১৭ নভেম্বর ১৯৮৩ সালে। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ৪ ডিসেম্বর থেকে আয়োজন করেছে ৫ দিনব্যাপী কারুশিল্প মেলার।
৪ ডিসেম্বর সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি। সভাপতিত্ব করেন এম. আজিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাস।
প্রধান অতিথি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কারুশিল্পের মাঝেই রয়েছে আমাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ’ এছাড়া সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে বিলুপ্ত সেই শিল্পমাধ্যমকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
সভাপতির ভাষণে এম. আজিজুর রহমান বলেন, ‘কারুশিল্পীরা আমাদের আড়াই হাজার বছরের ঐতিহ্য লালন করে আসছেন। ক্রমবর্ধমান বিদেশী শিল্পের প্রভাবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী শিল্প যেন ম্রিয়মাণ হয়ে না যায় সেদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। ’
প্রদর্শনীতে ৭টি বিভাগ থেকে মোট ২৪ শিল্পী তাদের উদ্ভাবিত শিল্পকর্ম নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ৮ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০০০০, ডিসেম্বর ০৫, ২০১০