ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

নবীন সৃজনশীল প্রকাশকদের নিয়ে কর্মশালা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১০
নবীন সৃজনশীল প্রকাশকদের নিয়ে কর্মশালা

বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনার মান উন্নয়ন, উন্নত বাজারজাতকরণ এবং প্রকাশনার প্রচার-প্রসারে সম্প্রতি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য সৃজনশীল বইয়ের পাঠক সৃষ্টি।

একটি বই তখনই ভালো পাঠকশ্রেণী তৈরি করতে পারে যখন বইটি হয় একটি মানসম্পন্ন প্রকাশনা। পান্ডুলিপি বাছাই, সম্পাদনা, আধুনিক ও নান্দনিক অঙ্গসজ্জা, মুদ্রণশৈলী, উন্নতমানের বাঁধাই- এসব মিলেই তৈরি হয় একটি মানসম্পন্ন প্রকাশনা। আর এই প্রকাশনার কারিগর প্রকাশক। আর উন্নতমানের প্রকাশনার জন্য প্রয়োজন একজন দক্ষ ও উন্নত প্রকাশকের। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রথমবারের মতো আয়োজন করে ‘দিনব্যাপী নবীন প্রকাশকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মশালা।

২৮ নভেম্বর শাহবাগের গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কনফারেন্স কক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকাশক ওসমান গণি ও খান মাহবুব। সভাপতিত্ব করেন নূর হোসেন তালুকদার।

কর্মশালায় প্রশিক্ষণের বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল ‘কীভাবে ভালো বই প্রকাশ করা যায়’, ‘কীভাবে ভালো প্রকাশক হওয়া যায়’, ‘পাঠক বৃদ্ধি ও প্রকাশনার অগ্রগতিতে গ্রন্থাগারের ভূমিকা’, ‘বাংলা প্রকাশনার বাজার : দেশ-বিদেশ’, ‘মেধাস্বত্ব আইনের আলোকে বাংলাদেশের প্রকাশনার বিকাশ’ ইত্যাদি। প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ড. বিমল গুহ, সাংবাদিক ও শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার, প্রকাশক খান মাহবুব, কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার মো. মনজুরুর রহমান। অন্বেষা প্রকাশন, নালন্দা, ভাষাচিত্র, নওরোজ কিতাবিস্তান, বাঙলায়ন, শুদ্ধস্বর, পারিজাত প্রকাশনী, ইতি প্রকাশন, মুক্তচিন্তা, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, রোদেলা প্রকাশনী, প্রিতম প্রকাশ, আবিষ্কার প্রকাশনী, অনিন্দ্য প্রকাশসহ দেশের উল্লেখযোগ্য প্রায় ৩০টি প্রকাশনার তরুণ-নবীণ প্রকাশকরা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার আয়োজন প্রসঙ্গে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক নূর হোসেন তালুকদার বলেন, ‘বর্তমান সরকার বইবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পে আমরা বদ্ধপরিকর। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। কারণ বই হলো আমাদের মননের প্রতীক। বই পাঠের মাধ্যমেই আমরা আমাদের জ্ঞানের সীমা নির্ধারণ করি। তাই বইকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে সারা বাংলাদেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে শেরপুর জেলাকে মডেল হিসেবে চিহ্নিত করে আমরা ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ‘

তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনার মধ্যে আছে প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি বুক কর্নার প্রতিষ্ঠা, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা। এছাড়া দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও উপজেলা পর্যায়ে একটি করে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনাও রয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে বর্তমানে পাবলিক লাইব্রেরি তো রয়েছেই। আর এসব পরিকল্পনা তখনই বাস্তবায়ন হবে যখন পাঠক আগ্রহ সহকারে বই পড়বে। তাই আমাদের বই প্রকাশনায় থাকতে হবে উন্নত ও নান্দনিক বিষয় ও মুদ্রণশৈলী। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের ‘নবীন প্রকাশকদের কর্মশালা’। ভবিষ্যতে আরো বড় আকারে এই কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে প্রশিক্ষক এনে কর্মশালা পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২১৫, ডিসেম্বর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।