ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক

রিগান উদ্দিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১০
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক এবং চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পট  হতে যাচ্ছে মিরসরাইয়ের মহামায়া প্রকল্প। প্রতিদিন পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ই এর নিদর্শন।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন ছুটে আসছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক হতে যাওয়া এ প্রকল্পের উদ্বোধন হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মহামায়া প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এখানে উন্মোচিত হচ্ছে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র। পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র গঠনের ল্েয এখানে অত্যাধুনিক কটেজ, এপ্রোচ রোড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে প্রায় দেড়শ কিলোওয়াট। এর মাধ্যমে কৃষি ও পর্যটনে উন্মোচিত হবে সম্ভাবনার নতুন দিগš। ১৮ নভেম্বর প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কথা হয় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে আসা দর্শনার্থী শাহরিয়ারের সাথে। তিনি জানান, পত্রিকায় প্রকল্পটির সংবাদ দেখে তার চার বন্ধুসহ এখানে আসেন। কিন্তু নিজের চোখে দেখে তিনি খুবই উচ্ছ্বসিত। বললেন, আসলেই প্রকল্পটি যে এত সুন্দর এখানে না এলে বুঝতাম না। কথা হয় মিরসরাইয়ের বারইয়াহাট এলাকা থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী কাজী মো. ওমর ফারুকের সাথে। তিনি বলেন, আমি কাজ থেকে একটু অবসর পেলে প্রায় সময়ই এখানে ছুটে আসি। এখানে এসে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ জামান জানান, কাপ্তাই লেকের পরই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক হিসেবে গড়ে উঠছে মিরসরাইয়ের মহামায়া প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘি বাজারের এক কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে করে মিরসরাইয়ের ১২০০ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে এবং সারা বছরই কৃষকরা ফসল ফলাতে পারবেন। বিশেষ করে ইরি মৌসুমে চাষাবাদে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কাজ বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে মহামায়া প্রকল্পের আওতায় মাটির ড্যাম, এপ্রোচ রোড, স্পিল ওয়ে, ইনট্রেক স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হচ্ছে। মাটির ড্যাম নির্মাণ শেষে এখান থেকে উৎপাদিত হবে দেড়শ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। এ প্রকল্পের আওতায় থাকবে ১১ বর্গকিলোমিটারের একটি এপ্রোচ রোড। মহামায়া লেক এলাকায় ৭টি প্রাকৃতিক ঝর্নাপ্রবাহের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলো পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ যোগাচ্ছে।

স্থানীয়রা মনে করেন, মহামায়া প্রকল্পে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে অর্থনৈতিকভাবে মিরসরাই আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১৩৫, নভেম্বর ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।