ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

১৫ নভেম্বর চারুকলায় নবান্ন-উৎসব

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০
১৫ নভেম্বর চারুকলায় নবান্ন-উৎসব

প্রতি বারের মতো এবারও নবান্ন-উৎসব উদযাপিত হবে পহেলা অগ্রহায়ণ, ১৫ নভেম্বর। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় বসবে দিনব্যাপী মিলনমেলা।

শুরু হবে সকাল সাতটায় আর চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।

সকাল সাড়ে আটটায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ১১ জন কৃষক। সোয়া নয়টায় নবান্ন শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্বর ঘুরে ফের চারুকলায় এসে শেষ হবে। সকাল ১০টায় থাকবে শিশু-কিশোরদের উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন ও প্রদর্শনী।

বেলা ১২টা থেকে তিনটা পর্যন্ত মঞ্চের পরিবেশনা বন্ধ থাকলেও চলবে প্রদর্শনী। বেলা তিনটা থেকে ঢাক-ঢোল, বাউলগান, লাঠিখেলা, নাচ ও গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।

দেশের বিশিষ্ট সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা এসব আয়োজনে অংশ নেবেন। মানিকগঞ্জের চাঁনমিয়া ও তার দল পরিবেশন করবে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা।

এই উপলক্ষে জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজন করে এক সংবাদ সম্মেলন। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান লায়লা হাসান, কো-চেয়ারম্যান শুভ রহমান ও কাজি মদিনা এবং আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম।

কয়েকজন তরুণ সংস্কৃতিকর্মীর উদ্যোগে গত ১২ বছর ধরে চারুকলার বকুলতলায় জাতীয়ভাবে নবান্নোৎসব আয়োজন করে আসছে এই সংগঠনটি। সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে লায়লা হাসান বলেন, ‘এই স্থানটিকে নবান্নোৎসবের জন্য স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। ’

নবান্ন-উৎসবকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাব্য সরকারি পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে শাহরিয়ার সালাম বলেন, ‘নবান্ন-উৎসব দেশের অন্যতম প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী এবং অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান। প্রাক-ইতিহাস যুগ থেকে গ্রামাঞ্চলে এই উৎসব সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে এলেও তা জাতীয়ভাবে উদযাপনে একটি দীর্ঘ বিরতি দেখা যায়। বর্তমান সরকার যদি পহেলা অগ্রহায়ণকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা দেন তাহলে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব নতুন জীবন লাভ করবে। ’

নবান্ন-উৎসবকে একটি শেকড়-সন্ধানী উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করে শুভ রহমান বলেন, ‘আমরা গত এক যুগ ধরে প্রাচীন-ঐতিহ্যবাহী নবান্ন-উৎসবকে ঢাকার নাগরিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই শহুরে জীবনে থেকেও যেন সবাই প্রাচীন ঐতিহ্যের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। ’

পহেলা অগ্রহায়ণকে জাতীয় ছুটির দাবি পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘এই ছুটি ঘোষণা করা হলে তা হবে কৃষির সঙ্গে জড়িত মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি। এই ছুটি সরকারকে কৃষি ও কৃষক-বান্ধব হিসেবেও পরিচিত করে তুলবে। ’

উৎসব উপলক্ষে পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি স্মারক সংকলন, পোস্টার ও শুভেচ্ছাপত্র প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৪০, নভেম্বর ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।