ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

মাগুরায় চাষ হচ্ছে আফ্রিকান ফল ট্যাং

আবু বাসার আখন্দ, মাগুরা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০
মাগুরায় চাষ হচ্ছে আফ্রিকান ফল ট্যাং

মাগুরায় বাণিজ্যিকভাবে আফ্রিকান ফল ট্যাং চাষ হচ্ছে। অনেকটা কমলা লেবুর মতো দেখতে সুস্বাদু এই ট্যাং দিয়ে তৈরি হয় শরবত।

বাজারে এর কৃত্রিম যে শরবত পাওয়া যায় এ ফল থেকে তৈরি শরবতের স্বাদ তার থেকে অনেক বেশি। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধেও এই শরবত বিশেষ কাজ করে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। মাগুরার হাজীপুর গ্রামে বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে এ ফল।

হাজীপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির আঙিনায় বিরাট এলাকাজুড়ে এই ট্যাংয়ের চাষ করেছেন তিনি। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ট্যাংয়ের চারা এনে বাড়িতে এক বছর আগে লাগিয়েছেন।

সাধারণত মে থেকে জুন মাসের মধ্যে ট্যাংয়ের গাছ লাগানো হয়। বছর শেষে জুন মাসে গাছে ফুল আসে এবং অক্টোবর নভেম্বর মাসে গাছ থেকে ফল তোলা যায়। এখন ট্যাং ফল পাকার সময়। প্রতিটি ট্যাং গাছ থেকে মৌসুমে ৪০ থেকে ৫০ কেজি ট্যাং ফল তোলা সম্ভব। এর একেকটির ওজন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত। এর চাষ অত্যন্ত লাভজনক। গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যেই গাছে ফুল আসায় চারা লাগানো ছাড়া আর তেমন কোনও খরচ নেই।

ট্যাংয়ের চাষ দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মেক্সিকো, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে চাষ হচ্ছে। এখন শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও। দেশের খাগড়াছড়ি ও ভালুকায় কিছু চাষ হলেও দেশের অন্যান্য স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখনো ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক এম এ রহিম ২০০৬ সালে দণি আফ্রিকা থেকে এ গাছের চারা দেশে আনেন। তিনি গবেষণার মাধ্যমে দেশব্যাপী এটি ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়টি জানার পর তিনি ট্যাং ফলের চারা সংগ্রহ করে বাড়িতে রোপণ করেছেন বলে জানান।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৪৫, অক্টোবর ৩১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad