ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ফসলের ক্ষেত। ছবি: বাংলানিউজ

কু‌ড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ বি‌ভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কৃ‌ষি বিভাগের তথ্যমতে, কু‌ড়িগ্রাম জেলায় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে তিন হাজার ছয়শ ২২ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, আউশ, শাক-সবজি, পাটসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেত।

রোববার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।

গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপু‌ত্রের পা‌নি স্থিতিশীল থাকলেও ধরলায় বেড়েছে ২২ সে‌ন্টি‌মিটার।

পা‌নি বৃ‌দ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার চিলমারী, উলিপুর, কু‌ড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, রাজিবপুর ও নাগেশ্বরীসহ আটটি উপজলায় নদ-নদী অববাহিকার প্রায় আড়াই শতাধিক চর ও দ্বীপচর প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।

এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় নিচু এলাকার মানুষজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে বন্যা মোকাবিলায় প্রাণ বাঁচাতে উঁচু কোনো জায়গায় একখানে গাদাগাদি করে অবস্থান নিতে হচ্ছে বানভাসিদের। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ফসলের ক্ষেত।  ছবি: বাংলানিউজকুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বাংলা‌নিউজকে জানান, নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন নতুন এলাকার প্লা‌বিত হয়ে বীজতলাসহ ফসল পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বো‌র্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলা‌নিউজকে জানান, আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে ধরলা ও তিস্তার পানি কমে গেলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রেজাউল করিম বাংলা‌নিউজকে জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য জেলার সবক’টি উপজেলায় মোট ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও শুকনা খাবার বিতরণের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।