ঢাকা, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

এবার ৪৪টি ডিম দিয়েছে করমজলের কুমির ‘পিলপিল’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
এবার ৪৪টি ডিম দিয়েছে করমজলের কুমির ‘পিলপিল’

বাগেরহাট: বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে এবার ৫২টি ডিম দিয়েছে কুমির ‘পিলপিল’।

শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে নিজ বাসায় এ ডিম দেয় পিলপিল।

৫২টি ডিমের মধ্যে পিলপিলের নিজ বাসায় ২১টি, পুরোনো ইনকিউবেটরে ১২টি এবং নতুন ইনকিউবেটরে ১১টি রাখা হয়েছে।

৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে পারে বলে প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের আশা।

এর আগে ২৯ মে পিলপিলের সঙ্গে থাকা আরেকটি কুমির ‘জুলিয়েট’ ৫২টি ডিম দেয়। যা এখন বাচ্চা ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে। তারও আগে ২০১৯ সালের ৯ মে ৪৪টি ডিম দিয়েছিল জুলেয়েট। যা থেকে কোনো বাচ্চা পাওয়া যায়নি।

২০১০ সাল থেকে এই প্রজনন কেন্দ্রে নিয়মিত ডিম দিয়ে আসছে পিলপিল। তবে গেল তিন বছর পিলপিল ও জুলেয়েটের ডিমে কোনো বাচ্চা ফোটেনি বলে জানান করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার নিজ বাসায় ৪৪টি ডিম পেরেছে পিলপিল। ডিমগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা রাখা হয়েছে। এবারের ডিমগুলো থেকে বাচ্চা পাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায়, গতানুগতিক ইনকিউবেটর ও নিজেদের তৈরি ইনকিউবেটরের সহযোগিতা নিচ্ছি। যাতে ডিম থেকে বাচ্চা পাওয়া যায় সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ বিগত তিন বছর এখানে কুমিরের বাচ্চা হচ্ছে না। আশা করি এবার একটি ভালো ফল পাবো।

করমজলই বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ২০০০ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের শুরু হলে এখানে কুমিরে ডিম দেয় ২০০৫ সালে। এখন পর্যন্ত করমজলে বিভিন্ন সময় ২৯২টি কুমিরের ছানা জন্ম নিয়েছে। যার মধ্যে ১৯৫টি ছানা এখনও প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে। ৯৭টি কুমিরের ছানা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।

** ৫২টি ডিম দিয়েছে করমজলের কুমির ‘জুলিয়েট’
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।