ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, ০২ মে ২০২৫, ০৪ জিলকদ ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হাবিপ্রবির পশু খামারে প্রথম ডিম দিল উটপাখি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:২৫, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯
হাবিপ্রবির পশু খামারে প্রথম ডিম দিল উটপাখি

দিনাজপুর: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) পশু খামারে এই প্রথম ডিম দিল একটি উটপাখি।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. আবদুল গাফফার মিয়া বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই প্রথম হাবিপ্রবির খামারের একটি উটপাখি ডিম দিয়েছে।

ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের অডিটোরিয়াম-২ এর পাশে অবস্থিত পশু খামারটি। ডিমটির প্রায় ওজন এক কেজি ১০০ গ্রাম। সাধারণত উটপাখি মরুভূমির পাখি হিসেবে পরিচিতি। কিন্তু বাংলাদেশের আবহাওয়ায় তারা মানিয়ে নিতে পারছে। এজন্য আমরা উটপাখি নিয়ে গবেষণায় আশাবাদী।

গবেষক আরও বলেন, একটি উটপাখির বাচ্চার দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। আমাদের দেশে উটপাখির খামার করার সম্ভাবনা রয়েছে। উটপাখির মাংস খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। উটপাখি বিভিন্ন ধরনের ঘাস, লতাপাতা ও পাথর খায়ে থেকে। তারা ৮০ থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।  

উটপাখি বছরে ১০০টি পর্যন্ত ডিম দিতে পারে এবং ৩০ থেকে ৪০ বছর উত্পাদনক্ষম থাকে। এদের ওজন দুই মনের বেশি হয়। দেশে বাণিজ্যিকভাবে উটপাখির খামার করতে পারলে আমিষের বিকল্প হিসেবে উটপাখি ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও জানান প্রফেসর ড. আবদুল গাফফার মিয়া।  

ভেটেরেনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা জানান, এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা অনেক দিন ধরে উটপাখিসহ বিভিন্ন ধরনের পশু লালন-পালন করছে। একটি উটপাখি ডিম দিয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগছে।  

জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাবিপ্রবিতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দু’টি উটপাখির বাচ্চা আনা হয়। বর্তমানে এখানে ছোট বড় মিলে ১৯টি উটপাখি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।