ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিশ্বব্যাপী বিপন্ন ‘কালামাথা কাস্তেচরা’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
বিশ্বব্যাপী বিপন্ন ‘কালামাথা কাস্তেচরা’ দুর্লভ পাখি কাস্তেচরা। ছবি- আবু বকর সিদ্দীক

মৌলভীবাজার: বিশ্বব্যাপী বিপন্ন পাখিদের তালিকায় রয়েছে ‘কালামাথা কাস্তেচরা’। আর এদের অবস্থান বাইক্কাবিল। এরা আমাদের দেশে ‘দুর্লভ পাখি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত।

সম্প্রতি বাইক্কা বিলের জলচর পাখিশুমারিতে পাঁচ প্রজাতির বিশ্বব্যাপী বিপন্ন পাখিদের অবস্থান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ‘কালামাথা কাস্তেচরা’ অন্যতম।

এই পাখিটির ইংরেজি নাম Black-headed Ibis এবং বৈজ্ঞানিক নাম Threskiornis melanocephalus। এর অপর কয়েকটি বাংলা নাম হলো- কাস্তেচরা, সাদা দোচরা, কাচিচোরা এবং কালোমাথা কাস্তেচরা।

আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. পল থমসন বাংলানিউজকে বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন, জলাভূমি ধ্বংস, ক্রমাগত শিকার প্রভৃতির কারণে Black-headed Ibis পাখিটি আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন। তবে বাইক্কা বিলের সাম্প্রতিক পাখিশুমারিতে আমি এদের ভালো সংখ্যায় খুঁজে পেয়েছি। শুধু এরাই নয়, আরো ৪ প্রজাতির বিপন্ন পাখিরাও রয়েছে। ’ 

এ পাখি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘এরা পালকহীন কালো গলা ও সাদা শরীরের বড় জলচর পাখি। ছেলে এবং মেয়ে পাখির চেহারা একই রকম। চোখ এবং পা কালো। লেজের শেষ মাথা কালচে। এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার। লম্বা চঞ্চু (ঠোঁট) এর দৈর্ঘ্য ১৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং পা প্রায় ১০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার। ’
প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে ড. পল বলেন, ‘হাওর, বিল, নদী, ধানক্ষেত, প্লাবিতভূমিসহ উপকূলে সচরাচর ঝাঁক বেঁধে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ায় Black-headed Ibis-দের বিচরণ রয়েছে। ’ 

মাছ, ব্যাঙ, শামুক জাতীয় প্রাণী, কেঁচো, জলজ পোকা ও উদ্ভিদ এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। উড়ার সময় এর বকের মতো গলা ভাঁজ করে না বলে জানান ড. পল থমসন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।