ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সবুজের বার্তা নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বাঙালি দম্পতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৩
সবুজের বার্তা নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বাঙালি দম্পতি

নয়াদিল্লি: উষ্ণায়নের থাবায় আমাদের নীলাভ সবুজ গ্রহটি ভয়ানক বিপদের মুখোমুখি। আর মানুষকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানানো ও সচেতনতার বার্তা পোঁছে দিতে মোটরবাইক নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছেন এক বাংলাদেশি দম্পতি।



অন্তত এশিয়ার দেশগুলোতে ঘুরে সবুজ বিশ্বের বার্তা পৌঁছে দিতেই ‍তাদের এ প্রচেষ্টা।

‘রাইড ফর গ্রিন আর্থ’-এর বার্তা নিয়ে ফাতেমা সুলতানা ও মহম্মদ শাহাদ ফেরদৌস এখন দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
    
ঢাকা থেকে ভুটান হয়ে তারা দিল্লিতে এসেছেন। নগরায়নের ডামাডোলে সবুজ হারাতে বসেছে দিল্লি। তাই, সচেতন হতে হবে নাগরিকদের। এমনই জানাচ্ছেন, শাহাদ ফেরদৌস।

ফিরদৌস-সুলতানার যাত্রা শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল। ঘুরেছেন কলকাতা, জলপাইগুড়ি, আসানসোল, বারানসি, এলাহাবাদ ও কানপুর।

তাদের পরবর্তী গন্তব্য অমৃতসর এবং জয়পুর। ভারত সফরের মধ্যে এই নগরীগুলিই বেছে নিয়েছেন ফেরদৌস-সুলতানা দম্পতি। তাদের বিশ্বাস, এই ‘গ্রিন রাইড’ সাধারণ মানুষের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে।

তারা জানালেন, পরিবেশ সম্পর্কে বেশ সচেতন ছোট্ট দেশ ভুটান। কার্বন ফুট প্রিন্টের মাত্রাও এ দেশে অল্প। দুই মেরুর বরফ গলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা; যা একসময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে।

আর এতে তলিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার নিচু দেশগুলো। তাই, সচেতন করতে হবে প্রতিটি মানুষকে। সুতরাং, থামবেন না ফেরদৌস ও সুলতানা। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার, চীন, পাকিস্তান ও মালদ্বীপেও যাবেন তারা।

বাংলাদেশের একটি ক্লাবের সহায়তায় পৃথিবীর পথে সবুজের কথা বলতে বেরিয়েছেন এ দম্পতি। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সাহায্যের।

শাহাদ ফেরদৌস বলেন, “আমাদের আরো সহায়তার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যদি আমাদের সাহায্য করে, তাহলে এই বার্তা আরো জোরদার হবে। ”
    
ইতোমধ্যেই, তারা তিন হাজার আটশ ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন। মনে বিশ্বাস আর সবুজায়নের সতর্ক বার্তা নিয়ে এগিয়ে চলছেন ফেরদৌস ও সুলতানা দম্পতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।