ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

২৮ বন্যপাখি উদ্ধার ও অবমুক্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১২
২৮ বন্যপাখি উদ্ধার ও অবমুক্ত

ঢাকা: অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় রোধ করতে গত মঙ্গল ও বুধবার অভিযান পরিচালনা করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট। অভিযানে রাজধানী থেকে ২৮টি বণ্যপাখি উদ্ধার করে সেগুলোকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবমুক্ত করা হয়েছে।


bird
বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর মিরপুর ১, ২, ১০ ও ১৩ নম্বর এবং আগারগাঁও এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষন বিভাগ। এর আগে মঙ্গলবার উত্তরা, রাজলক্ষ্মী, চালাবন, দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পাখি বিক্রি করতে দেখেন বিভাগের কর্মকর্তারা।

কিন্তু পাখি বিক্রেতারা অভিযান দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পাখির খাঁচা রেখেই পালিয়ে যান। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে- ১টি পাহাড়ি ময়না, ৭টি টিয়া, ১টি তোতা, ৯টি হীরামন ও ২টি তিলা ঘুঘু।
bird
অভিযান দলের কর্মকর্তারা চেষ্টা করেও পাখি বিক্রেতাদের ধরতে পারেন নি। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে পাখিগুলোকে পরে মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে মুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে একটি ইউডিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবারও সকাল ১০টা থেকে ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের কর্মকর্তারা রাজধানীর উত্তরা, রাজলক্ষ্মী, চালাবন, দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

সেদিনও দক্ষিণখান এলাকায় পাখি বিক্রেতা অভিযান দলের উপস্থিতি টের পেয়ে খাঁচা রেখেই পালিয়ে যান। সেদিন ২ টি কালিম পাখি, ২টি কণ্ঠী ঘুঘু, ৪টি তিলা ঘুঘু উদ্ধার করা হয়। এসব পাখিকেও বোটানিক্যাল গার্ডেন ও লেকে অবমুক্ত করা হয়। এ বিষয়েও একটি ইউডিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় ০৩৫৭ ঘণ্টা,  অক্টোবর ১১, ২০১২
এমএন/ জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।