ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ করা হবে: মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ করা হবে: মন্ত্রী

ঢাকা: উন্নত ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত মনিটরিং, আইনের প্রয়োগ এবং স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সুফল প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলা পাতা মাছ প্রজাতির ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ এবং ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন ফর শার্ক অ্যান্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’ এর অনুমোদন সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন ফর শার্ক অ্যান্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’ হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত আহরণ কমাতে এবং ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলাপাতা মাছ প্রজাতির দলের সংখ্যা হ্রাস রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ আমাদের উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং এদের দেহাংশের অবৈধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের প্রজাতি আমাদের জাতীয় আইন দ্বারা কঠোরভাবে সুরক্ষিত। সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এসকল প্রজাতিকে সুরক্ষা দিতে কার্যকরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। এসকল প্রজাতিকে বিলুপ্তি রোধে ও অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য কাস্টমস, পুলিশ, বর্ডার গার্ড, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী এবং নৌ পুলিশের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা সম্পর্কিত এই কৌশলগত পরিকল্পনাটি বিভিন্ন সংস্থা, অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী, সম্প্রদায় এবং বিদেশী পরামর্শকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের জন্য প্রস্তুতকৃত ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন শুধুমাত্র এদের সংরক্ষণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষপের কৌশলগত দিকনির্দেশিকা নয়। বরং, এদের অবস্থার উন্নতির জন্য অনুকরণীয় গাইডলাইন। হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের এখনই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সিনিয়র ম্যানেজার এলিজাবেথ ফার্নি মনসুর, প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজারসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।