ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

কেরানীগঞ্জে চিরশায়িত মিতা হক

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
কেরানীগঞ্জে চিরশায়িত মিতা হক মিতা হক

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী মিতা হক। রোববার (১১ এপ্রিল) বাদ জোহর কেরানীগঞ্জ তারানগর ইউনিয়নের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা ও মায়ের কবরের মাঝে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মিতা হকের জামাতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাদ জোহর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে এই গুণী সংগীতশিল্পীকে দাফন করা হয়। দাফনের পর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এর আগে গুণী এই সংগীতশিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর ছায়ানট ভবনে। সেখানে তাকে শেষ বিদায় জানাতে ছুটে যান সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকে।

মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মিতা হক।  

১৯৬৩ সালে জন্ম হওয়া শিল্পী মিতা বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে।

মিতা হক প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করেছেন।

তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।