ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

শয্যাশায়ী বেজ বাবা সুমন 

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২১
শয্যাশায়ী বেজ বাবা সুমন  বেজ বাবা সুমন 

২০১৭ সালে ক্যান্সার থেকে সেরে উঠার পর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অর্থহীন ব্যান্ডের প্রধান বেজ বাবা সুমন। এরপর জটিল অস্ত্রোপচার হয় তার।

মেরুদণ্ডের দুটি ডিস্কও পরিবর্তন করা হয়েছিল তখন। তবে নতুন করে এটার সার্জারির জন্যই জার্মানি যাওয়ার কথা তার। কিন্তু মহামারির কারণে ভিসা পাচ্ছেন না দেশসেরা এই শিল্পী।

সুমনের শারীরিক অবস্থা এখন গুরুতর। একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে গেছেন তিনি। বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না, ঠিক মতো কথাও বলতে পারছেন না।  

বেজ বাবা সুমন বলেন, ‘খুব বাজে অবস্থায় আছি। ভিসা না পাওয়ায় জার্মানি যেতে পারছি না। এটা খুবই গুরুতর ও জটিল অপারেশন। এখানে রিস্ক নেওয়ার সুযোগ নেই। তাই অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টাও করছি না। ’

তিনি জানান, বছরখানেক আগেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা খুব একটা আশাবাদী নন। সার্জারি অসফল হলে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুমনের। দুই এক মাসের মধ্যে জার্মানির ভিসা চালু হতে পারে, সেই অপেক্ষায় এখন প্রহর গুনছেন তিনি।

বেশ কয়েক বছর আগে চিকিৎসকেরা সুমনের শরীরে দুটি টিউমারের অস্তিত্ব পান। একসময় জানা যায়, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। তখন ক্যানসারটি প্রথম ধাপে ছিল। এই গায়কের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর কিছুদিন পর চিকিৎসকেরা জানান, তার আবার ক্যানসার ধরা পড়েছে। আবারও সার্জারি করা হয়।  

২০১৭ সালে সার্জারির পর ব্যাংককের একটি হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন এই গায়ক। এমন সময় হঠাৎ একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সুমনের শরীরে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে ৯টি সার্জারি করা হয়। ওই দুর্ঘটনায় তার স্পাইনাল কর্ডের ক্ষতি হয়। তখন তার মেরুদণ্ডের দুটি ডিস্কও পরিবর্তন করা হয়েছিল। নতুন করে এর সার্জারির জন্যই দেশসেরা এই শিল্পীর জার্মানিতে যাওয়া খুব জরুরি।

বেজ বাবা সুমন ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাজিয়েছেন জেমসের সঙ্গে। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ফিলিংস, চট্টগ্রামের। ওয়ারফেজের ‘অসামাজিক’ অ্যালবামে কাজ করেছেন তিনি। এভাবে জড়িত ছিলেন প্রায় ১১টি ব্যান্ডের সঙ্গে। পরে ১৯৯৯ সালে সুমন প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ডদল অর্থহীন। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।