ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

গজদন্তের কারণেই নাকি আমার হাসি সুন্দর : আমব্রিন

প্রীতি ওয়ারেছা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১২
গজদন্তের কারণেই নাকি আমার হাসি সুন্দর : আমব্রিন

গজদন্ত হাসির মিষ্টি মেয়ে, আমব্রিন। পুরো নাম আমব্রীনা সারজিন আমব্রিন।

মডেলিং,উপস্থাপনা ও অভিনয়, পারফর্মিং আর্টের সবগুলো মাধ্যমেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। মিডিয়ায় এ সময়ে যে কয়জন প্রতিশ্রতিশীল শিল্পী আছেন তার মধ্যে আমব্রিন অন্যতম। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ইভেন্ট থেকে বেরিয়ে আসা এই সুন্দরীর সঙ্গে সম্প্রতি কথা হলো বাংলানিউজের। সেই কথোপকথনের নির্বাচিত অংশ পাঠকের জন্য।

বাংলানিউজ : কেমন চলছে? কী করছেন?
আমব্রিন : ভালো আছি। কাজ নিয়ে দিন কাটছে। পড়ালেখার পাশাপাশি মিডিয়াতে সময় দিচ্ছি। পড়াশোনা শেষ করে পুরোপুরি মিডিয়াতে সময় দিতে পারবো বলে আশা করছি

বাংলানিউজ : পড়ালেখা করছেন কোথায়?
আমব্রিন : আইএনআইএসটি-তে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের উপর পড়ছি।

বাংলানিউজ: মিডিয়াতে আসার শুরুর কথা জানতে চাই।
আমব্রিন : আসলে মিডিয়ায় কাজ করবো, এমন কোনো চিন্তা-ভাবনা ছোটবেলায় ছিল না। নেহাতে ঝোঁকের মাথায় ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ইভেন্টে অংশ নেই। আমি সেই প্রতিযোগিতার সেরা দশের মধ্যে ছিলাম। এই ইভেন্টের মাধ্যমেই আমার মিডিয়াতে আসা।

বাংলানিউজ : কোন কাজটিকে নিজের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে
করেন?
আমব্রিন : বাংলালিঙ্কের যে বিজ্ঞাপনটিতে আমি নববধুর সাজে সেজেছিলাম সেটি আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এরপর বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের একটি বিজ্ঞাপন আমার ক্যারিয়ারে অন্যরকম একটা মাত্রা যোগ করেছে।

বাংলানিউজ : মডেলিং উপস্থাপনা আর অভিনয় কোন কাজে নিজে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন ?
আমব্রিন : অবশ্যই উপস্থাপনা। এতে নিজে থেকে অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে বলে উপস্থাপনা করে অন্য রকম আনন্দ পাই।

বাংলানিউজ : বর্তমানে কী কী কাজ করছেন?
আমব্রিন : উপস্থাপনা করছি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের। যার মধ্যে আছে সিনে হিটস্, আরটিভি লাইভস শো, ঠিক বলছেন তো, ইট জোন প্রভৃতি। আমার করা অনেকগুলো বিজ্ঞাপন এই মুহূর্তে প্রচারের অপেক্ষায় আছে। যার মধ্যে রয়েছে- কাই অ্যালুমিনিয়াম, বেবি লাভ ডায়াপার,বাংলালিঙ্ক অ্যাডভান্স ব্যালান্স টিভিসি, সজিব কর্ণফ্লেক্স প্রভৃতি। আরও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের কথা চলছে। অভিনয় আমি খুব বেশি করছি না। এটিএন বাংলায় ‘এই শহরে’ নামে ও আরটিভিতে ‘ব্যবধান’ নামে আমার অভিনীত দুটি ধারাবাহিক নাটক যাচ্ছে এ মুহূর্তে । সত্যি বলতে কী, নাটকের প্রতি দুর্বলতা খুব কম। তাই বেশি করা হয়ে ওঠে না। তারপরেও অনুরোধের কারণে অনেকগুলো নাটক হাতে নিয়ে ফেলেছি।

বাংলানিউজ : আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান।
আমব্রিন: একজন প্রতিষ্ঠিত মহিলা উদ্যেক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাই। আর মিডিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই একজন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা হিসাবে।

বাংলানিউজ : আপনাকে চলচ্চিত্রে দেখব কবে?
আমব্রিন : মিডিয়ায় আসার পর থেকে বেশ কিছু ভাল ভাল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অফার এসেছে আমার কাছে। আমারও ভীষন ইচ্ছে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের, কিন্তু পরিবারের কেউ রাজি না। তাই আপাতত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পারছি না। হয়তো ভবিষ্যতে কখনো করবো।

বাংলানিউজ : আপনার সম্পর্কে অজানা কোন তথ্য আমাদের পাঠকদের বলুন?
আমব্রিন : আমার সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে অনেককিছুই পাঠকরা জানেন। তবু মনে হয় বেশির ভাগ দর্শক জানেন না যে,  তআমার জন্ম লিবিয়ার ত্রিপোলীতে। ১০ বছর বয়সে আমি বাংলাদেশে আসি। আমার আব্বু বাঙালি আর আম্মু শ্রীলঙ্কান। আমার আব্বু-আম্মুর পরিচয় এবং বিয়ে লিবিয়াতেই হয়েছিল।

বাংলানিউজ : মিডিয়াতে ঘটে যাওয়া মজার কোনো অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাই?
আমব্রীন : মিডিয়াতে কাজ করার অভিজ্ঞতা সবসময়ই মজার। কাজ করার সময় প্রতিদিনই কিছু না কিছু মজার ঘটনা ঘটে থাকে। এ মুহূর্তে খুব মনে পড়ছে লাক্স চ্যানেল আইয়ের বিউটি কনটেস্টের কথা। সেরা ২৫ জন নিয়ে যখন ক্যাম্পেইন শুরু হবে ঠিক তার আগে আমি ডেন্টিস্টের কাছে গিয়েছিলাম আমার গজ দাঁত ফেলে দেওয়ার জন্যে। কিন্তু সেদিন পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় ডাক্তার আমার দাঁত তুলতে অসম্মতি জানান। দাঁতটা আর ফেলা হল না দেখে মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতায় আমার হাসির অনেক প্রশংসা পাচ্ছিলাম। সুবর্না আপা,সারা যাকের আপা বলেছিলেন, গজদন্তের কারণেই নাকি আমার হাসি সুন্দর। এখন এমন হয় যে আমাকে না চিনেও শুধু হাসি দেখেই অনেকে জিজ্ঞেস করে আপনি বাংলালিঙ্কের সেই লাজুক বধুটি না! আমি তখন হেসে উত্তর দেই হ্যাঁ আমিই সেই।

বাংলানিউজ : মনের মানুষের জন্য কি মেসেজ দিতে চান ?
আমব্রীন : এখনও মনের মানুষ হয়নি। তবে তাকে বলতে চাই, সে যেখানেই থাকুক আমার কাছে চলে আসুক। আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাক। আমি তার অপেক্ষায় আছি।

বাংলাদেশ সময় ১৬৩৫, জানুয়ারি ২৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।