ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টি নিয়ে ডিজিটাল আর্কাইভিংয়ের উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টি নিয়ে ডিজিটাল আর্কাইভিংয়ের উদ্বোধন আইয়ুব বাচ্চু ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের অনুষ্ঠান

ঢাকা: বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের উদ্যোগে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর সংগীত জীবনের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ ও ডিজিটাল আর্কাইভিংয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে এক আয়োজনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই আর্কাইভের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইয়ুব বাচ্চু অসংখ্য গান তৈরি করে গেছেন। যা আজ আমাদের জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে। এই সম্পদ সংরক্ষণে কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। একইসঙ্গে দেশের অন্য যেসব শিল্পীরা আছেন, তাদেরকে বলবো কপিরাইট নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য। কারণ তাদের সমস্ত সৃষ্টি আমাদের সম্পদ। আর আমাদের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন।

আয়োজনে আইয়ুব বাচ্চুর কন্যা ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, আমার বাবা কপিরাইট আন্দোলনে অনেক আগে থেকেই ছিলেন। সেটা ২০২০ সালে এসে সফল হলো। এটা আমাদের এবং দেশের সকল শিল্পীদের জন্য বড়প্রাপ্তি। এজন্য সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো আমাদের দেশে একটি মিউজিক্যাল মিউজিয়াম করার জন্য। যেখান থেকে সবাই যেন শিল্পীদের বিস্তারিত জীবন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের কাজের ধরনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।

রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরী জানান, www.abkitchen.org ওয়েবসাইটটিতে থাকছে প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর লাইফ প্রোফাইল, তার অনবদ্য সৃষ্টি ব্যান্ড দল এলআরবি'র ছবিসহ বর্ণনা, আইয়ুব বাচ্চু এবং এলআরবি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিভিন্ন কনসার্ট ও ট্যুরের বর্ণনা, গানসমূহের অডিও স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা এবং ওয়েবসাইট থেকে গান ডাউনলোড ও গান ক্রয়ের সুব্যবস্থা।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগ শুধু শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর গানগুলোকে সংরক্ষণ করাই নয় বরং বাংলাদেশে কপিরাইটে একটি সুব্যবস্থার সূচনাও। এখান থেকে একজন মানুষ খুব সহজেই জানতে পারবেন কীভাবে কপিরাইট আইন পরিচালিত হয়। একইসঙ্গে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি ই-মেইল করে কপিরাইটের অনুমতি নিয়ে যে কেউ ট্রিবিউট করতে পারবেন আইয়ুব বাচ্চুর গান। আর যদি কেউ চায় বাণিজ্যিকভাবে গান ব্যবহার করতে, তবে সে জন্যেও রয়েছে ব্যবস্থা।

এখন পর্যন্ত এ আর্কাইভয়ে আইয়ুব বাচ্চুর কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনকৃত ২৭২টি গান রয়েছে। ভবিষ্যতে তার সুরারোপিত পরিবেশিত অবশিষ্ট গানগুলোর কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের পর এ আর্কাইভে সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া আইয়ুব বাচ্চুর রুপালী গিটারসহ তার ব্যবহৃত ৫০টিরও বেশি গিটারের একটি থ্রিডি ডিজিটাল মিউজিয়ামও এখানে যুক্ত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
এইচএমএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।