ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

কঙ্গনার বাড়ির সামনে গোলাগুলি, পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২০
কঙ্গনার বাড়ির সামনে গোলাগুলি, পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার

একদিন আগেই কঙ্গনা রনৌতের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেলে সেটা যে তার আত্মহত্যা হবে না এটা নিশ্চিত করে বলেন অভিনেত্রী। বলিউডে স্বজনপোষণ আর মাফিয়াদের প্রভাব, পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে যোগসূত্র ইত্যাদি বিষয়ে সরব হয়েছেন কঙ্গনা।

এরইমধ্যে তার বাড়ির সামনেই হলো গোলাগুলির শব্দ। প্রচণ্ড আতঙ্কিত অভিনেত্রীর পরিবার।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলিউডে স্বজনপোষণসহ নানান অসঙ্গতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। এই সমস্ত অভিযোগে সরগরম বলিউডের অন্দরমহল। সবচেয়ে বেশি এসব ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন কঙ্গনা রনৌত। এই পরিস্থিতিতে নিজের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন অভিনেত্রী। তবে তা যে আত্মহত্যা হবে না, সেকথাও জানিয়েছেনকুইন। এমন পরিস্থিতিতে এবার কঙ্গনার মানালির বাড়ির সামনেই ঘটলো গোলাগুলির ঘটনা। এরপরই কড়া পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে তার বাড়িতে।

কঙ্গনা বলেন, ‘শুক্রবার রাত ঠিক সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমি শোয়ার ঘরে ছিলাম। তিনতলা বাড়ির বাইরে আচমকা একটা শব্দ পাই। প্রথমে মনে করি বাজি ফাটছে। মানালিতে এখন কোনও পর্যটক নেই। তাই বাজি ফাটার কথাও নয়। তারপর আরেকটা শব্দ পাই। তখনই বুঝতে পারি এটা গুলির শব্দ। তড়িঘড়ি নিরাপত্তারক্ষীর কাছে যাই। তিনি জানান কোনও শিশু হয়তো কাজ করেছে। কিন্তু আমরা পাঁচজন বুঝতে পারি এটা গুলির শব্দ। নিরাপত্তারক্ষী হয়তো কোনও কারণে তা বুঝতে পারেননি।

নিরাপত্তার স্বার্থে কুল্লু থানায় অভিযোগ জানানো হয়। ডিএসপি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী তার বাড়িতে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তকারীদের সন্দেহজনক কিছুই নজরে আসেনি। শুক্রবার রাতে এলাকায় আসা বহিরাগত গাড়ির তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তার স্বার্থে সব সময়ের জন্য পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট।

কে বা কারা অভিনেত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালালো, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কঙ্গনার ধারণা, সুশান্তের মৃত্যুর পর সরব হওয়ার কারণে তাকে কেউ ভয় পাওয়ানোর জন্য কাজ করেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কঙ্গনা বলেন, ‘রাজনীতিতে গুণ্ডাগিরি নিয়ে পরিচিত লোকজনের সম্পর্কে মন্তব্য করে ফেলেছি। তাই হয়ত আমাকে ভয় দেখাতে এটা করা হলো। এখানে এর আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। শুধু  আমিই নই, আরও অনেকেই শুনেছেন গুলির শব্দ। আমার মনে হয় স্থানীয় গুণ্ডাদের আমায় ভয় দেখাতে ভাড়া করা হয়েছিল। ৭-৮ হাজার টাকা দিলেই এদের যোগাড় করা যায়। আমার মনে হয়না এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলাম। লোকজন আমায় এখন বলছে, মুম্বাইতে আপনার জীবন এরা দুর্বিষহ করে তুলবে। আমাকে সবাই মুম্বাইয়ে থাকতে নিষেধ করছেন। এদেশে কি এভাবেই গুণ্ডাগিরি চলে? সুশান্তকেও নিশ্চয় এভাবেই ভয় দেখানো হয়েছিল। তবে আমি কথা বলা থামাবো না। ’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই টিম কঙ্গনা টুইটারে লেখে, ‘প্রত্যেকেই জানে, তবে কেউ নাম নিতে পারে না। তিনি করণ জোহরের প্রিয় বন্ধু, দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে। বেবি পেঙ্গুইন বলে পরিচিত। যদি কোনওদিন আমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়, জানবেন আমি আত্মহত্যা করিনি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।