ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

পাঠ্যপুস্তকে ঋত্বিক রোশনের জীবনের গল্প

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২০
পাঠ্যপুস্তকে ঋত্বিক রোশনের জীবনের গল্প

বড়পর্দায় বলিউড তারকা ঋত্বিক রোশনের যে গ্ল্যামার দেখা যায়, তার পেছনে যে সংগ্রামী জীবন ও অনেক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার গল্প আছে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ভারতের তামিলনাড়ুর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এখন ঋত্বিকের জীবনের অনুপ্রেরণামূলক গল্পই পড়ানো হচ্ছে।

যে অভিনেতাকে এখন বলিউডের গ্রিক দেবতা বলা হয়, তিনি বাস্তবে মোটেও এতটা স্মার্ট ও নিখুঁত ছিলেন না। অনেকে জেনে বিস্মিত হবেন যে, ঋত্বিক রোশনের মেরুদণ্ড কিছুটা বাঁকা ছিল।

তার ডান হাতে ৫টি নয়, ৬টি আঙুল। তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারতেন না, তোতলামি করতেন। ছোটবেলায় তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত বন্ধুরা।  

এত সীমাবদ্ধতার পরও দমে যাননি ঋত্বিক। বলিউড অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক রাকেশ রোশনের ছেলে তিনি। অথচ প্রতাপশালী তারকার ঘরে জন্ম নিয়েও তার নিজের তারকা হয়ে ওঠা মোটেও সহজ ছিল না। তবে এ যাত্রায় তার পাশে ছিল পরিবার। ঋত্বিক তার মেরুদণ্ডের সমস্যাটা চিকিৎসায় ঠিক করে নেন। কিন্তু হাতের ৬টি আঙুলকে তার সীমাবদ্ধতা নয়, বরং শক্তি বা আশীর্বাদ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অনেক প্রচেষ্টায় নিজের তোতলামিকেও জয় করেছেন তিনি। এরপর তিনি আবির্ভূত হন বড় পর্দায়। আর অভিষেকেই সুপারহিট সিনেমা ‘কাহো না পিয়ার হ্যায়’ উপহার দেন বলিউডকে।  

নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ঋত্বিকের সুপারস্টার হয়ে ওঠার গল্প এখন শিশু-কিশোরদের প্রেরণা দিচ্ছে। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ‘জীবন ও মূল্যবোধ শিক্ষা’ পাঠ্যপুস্তকে ‘আত্মবিশ্বাস’ নামের অধ্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে ঋত্বিক রোশনের বড় হয়ে ওঠার প্রেরণামূলক গল্প। এস. চাঁদ পাবলিকেশন্স প্রকাশিত বইটি ম্যাট্রিক স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবোধ শিক্ষার জন্য পাঠ্য হিসেবে রয়েছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক বেন ব্রুকস রচিত ‘স্টোরিস ফর বয়েজ হু ডেয়ার টু বি ডিফারেন্ট’ বইয়েও ‘ওয়ার’খ্যাত তারকা ঋত্বিক রোশনের জীবনের গল্প অমর হয়ে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।