ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

শাহিদ-প্রিয়াঙ্কার লুকোচুরি

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১০
শাহিদ-প্রিয়াঙ্কার লুকোচুরি

শাহিদ কাপুর বড় একা হয়ে যান দীর্ঘদিনের সঙ্গী কারিনা কাপুর সাইফ আলী খানের কাছে চলে যাওয়ার পর। কারিনার সঙ্গে মিষ্টিমধুর সময় কাটানোর স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারছিলেন না বেচারা।

প্রেমিকা অন্যের বগলবন্দি হয়ে যাওয়ার পর একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিলেও শাহিদ বেশ কিছুদিন ছিলেন সঙ্গীহীন। তবে একজন সত্যিকারের প্রেমিকের পক্ষে কি আর একা থাকা সম্ভব? শাহিদের একাকীত্বের অবসান ঘটিয়ে তার পাশে এসে দাঁড়ালেন আরেক সুন্দরী। শুধু কি সুন্দরী...একেবারে বিশ্বসুন্দরী !

প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শাহিদের অন্তরঙ্গ সর্ম্পক গড়ে ওঠে ‘কামিনে’ ছবির শুটিংয়ের সময়ই । অন-স্ক্রিনের প্রেমের অভিনয়ের পাশাপাশি অফ স্ক্রিনেও তাদের সম্পর্কটা জমে ওঠে। যদিও শুরুতে দুজনেই মিডিয়ার কাছে এই প্রেম নিয়ে লুকোচুরি করেছেন। কিন্তু মুম্বাইয়ের ভারসোভার রাজ ক্যাসিক অ্যাপার্টমেন্টে দুজনই ডেরা গাড়লে তাদের প্রেম-রোমান্স হয়ে ওঠে ওপেন সিক্রেট। একই ভবনে আলাদা ফ্যাটে থাকলেও তাদের দুজনকে গভীর রাতে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে দেখেছেন অ্যাপার্টমেন্টের অনেক বাসিন্দা। একসঙ্গে পার্টিতে যাওয়া,  পার্টিতে গিয়ে এক কোণে গল্পে মেতে ওঠা, উইকএন্ডে লঙ ড্রাইভ এবং... সবই করেছেন তারা। তবে কথায় আছে কপালে নাকি সুখ সয় না বেশি দিন। এই কথা সত্য প্রমাণ করে অল্পদিন পরেই তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরতে শুরু করে।

‘কামিনে’ ছবির সাফল্যের পরপরই শাহিদ-প্রিয়াঙ্কা যুগলের ভালোবাসার সম্পর্কে চিড় ধরতে থাকে। একটু একটু করে দুজনার মধ্যে তৈরি হতে থাকে ব্যবধান। অনেকের ধারণা, প্রিয়াঙ্কার বর্হিমুখী আচরণে বিরক্ত হয়েই নাকি শাহিদ নিজেকে সরিয়ে নেন। আবার প্রিয়াঙ্কার পক্ষেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ‘কামিনে’ ছবির  এক্সিকিউটিভ প্রেডিউসার মবিনার সঙ্গে শাহিদের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাই নাকি পছন্দ হয়নি প্রিয়াঙ্কার। তবে বেশ খানিকটা কাঠখড় পুড়িয়ে শাহিদ কাপুর আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সম্পর্ক আবারও জোড়া লাগতে শুরু করেছে। ভালোবাসার অদম্য টান তাদের আবার কাছে টেনে এনেছে।

তারা দুজনেই নাকি একমত হয়েছেন, তৃতীয় পক্ষের কারণেই তাদের এই ভুল  বোঝাবুঝি। তাই সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় পক্ষ আর নয়। ইদানীং তারা আগের মতোই ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছেন। তবে আগের চেয়ে তারা এখন অনেক বেশি সতর্ক। লোকচুর অন্তরালে মিডিয়াকে বুদ্ধু বানিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে ডিনার করা থেকে শুরু করে কফি শপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা সবই চলছে। সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বেমালুম অস্বীকার করে যান। এমন ভাব করেন যে ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে জানেন না।

কিন্তু পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। যাদের ভয়ে তারা অনেক সংগোপনে সবকিছু চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সাংবাদিকদের কাছেই ধরা পড়লেন হাতেনাতে। সম্প্রতি ‘খঁতরো কা খিলাড়ি’ ছবির কাজে প্রিয়াঙ্কার ব্রাজিলের ফাইট ছিল। আর তাকে তুলে দিতে শাহিদ রাত দুটোয় নিজের ব্যাক রেঞ্জ রোভার গাড়িতে করে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে এয়ারপোর্টে হাজির হন। দুজনেরই ধারণা ছিল এত গভীর রাতে কেই-বা তাদের দেখবে। কিন্তু গাড়ির দরজা খুলতেই ঘটল মহাবিপত্তি। প্রায় শ-খানেক সাংবাদিক ঘিরে ধরলেন তাদের। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রিয়াঙ্কা হন হন করে ঢুকে গেলেন এয়ারপোর্টের ভেতরে আর... শাহিদ গাড়ির পিকআপ বাড়িয়ে সেখান থেকে লাপাত্তা। তবে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলেও প্রিয়াঙ্কা-শাহিদ দুজনের কেউই মুখ খুলেননি। বরাবরই বলে আসছেন তারা কেবল একে অপরের ভালো বন্ধু। তবে যা কিছু ঘটে তার কিছু না কিছু তো রটে। ফলে প্রিয়াঙ্কা-শাহিদের প্রেম নিয়ে অনেকেই প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু নিয়মিত প্রেমিক-প্রেমিকা বদলানোর সংস্কৃতিতে প্রিয়াঙ্কা-শাহিদের প্রেম কতদিন টিকবে, সেটাই দেখার বিষয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৩০, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।