ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

‘আইডিয়া চুরি’ করে কিয়ারার ছবি তুলেছেন ডাব্বু

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
‘আইডিয়া চুরি’ করে কিয়ারার ছবি তুলেছেন ডাব্বু

এবছর ডাব্বু রত্নানির ক্যালেন্ডার শুটে চোখ ধাঁধানো অবতারে দেখা দিয়ে নেটদুনিয়ায় দারুণ আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন ‘কবির সিং’খ্যাত অভিনেত্রী কিয়ারা আদবাণী। এবার ফটোগ্রাফারকে নিয়েও শুরু উন্মাদনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অন্য ফটোগ্রাফারের আইডিয়া চুরি করে কিয়ারার ছবি তুলেছেন তিনি। 

ডাব্বু রত্নানির ক্যালেন্ডারে স্থান পাওয়া বলিউড সেলেব্রিটিদের কাছে সম্মানের ব্যাপার। ইতোমধ্যে উন্মুক্ত অবয়বে ফটোশুট করায় সমালোচনার শিকার হচ্ছেন কিয়ারা।

তবে সমালোচনার তীর এবার ডাব্বুর দিকেও। কারণ অভিযোগ উঠেছে তিনি এই আইডিয়া চুরি করেছেন। এটি অন্য এক ফটোগ্রাফারের কনসেপ্ট বা ভাবনা।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রগ্রাহক মেরি বার্সচ বছর খানেক আগে একটি ফটোশুট করেছিলেন। ছবিতে দেখা গিয়েছিল স্টেপ টেইলরকে। সেখানেও কচুপাতায় অবয়ব ঢেকে শুট করেছিলেন তিনি। ঠিক যেভাবে ডাব্বু রত্নানির ছবিতে কিয়ারা শুট করেছেন।  

নেটিজেনদের অভিযোগ, মেরি বার্সচের সেই ভাবনাটাই চুরি করেছেন ডাব্বু। যদিও ডাব্বু রত্নানি একথা মানতে নারাজ।  

ইনস্টাগ্রামে ডাব্বু তার ২০০২ সালের ক্যালেন্ডারের একটি ছবি শেয়ার করে বলেন, এই মনোমুগ্ধকর ও কালোত্তীর্ণ ছবিটি ২০০১ সালে তুলেছিলাম। টাবুর এই ছবিটি আমার ২০০২ সালের ক্যালেন্ডারে স্থান পেয়েছিল।

ডাব্বু রত্নানির তোলা অভিনেত্রী টাবুর ফটোশুট

ডাব্বু আরও লেখেন, সম্প্রতি গাছের পাতার সঙ্গে কিয়ারার একটি শ্বাসরুদ্ধকর ক্যালেন্ডার শট নিয়ে বিতর্ক চলছে। কিন্তু আমি আমার ক্যামেরা যেমন বারবার ব্যবহার করতে পারি, তেমনি আমার কনসেপ্টও তো বারবার ব্যবহার করতে পারি। এতেও যদি ট্রলকারীদের তুষ্টি না হয়, তাহলে স্বীকার করছি, হ্যাঁ আমি আমার নিজের কনসেপ্টই চুরি করেছি।  

কিছুদিন আগে এই ছবিটি নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কিয়ারা আদবাণী। ডাব্বু রত্নানি শুট করা ছবিটি প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায় হাসির বন্যা বয়ে যায়। ট্রোলের শিকার হন সামাজিক মাধ্যমে। যদিও এই ছবির জন্য ডাব্বু রত্নানি এবং কিয়ারা, দু’জনেই প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু সমালোচনা যা হয়েছে, তা ম্লান করেছে প্রশংসাকে।  

নেটদুনিয়ায় কিয়ারার ছবি নিয়ে যেন ফটোশপের প্রতিযোগিতাও শুরু হয়। কেউ কিয়ারাকে জামাকাপড় পরিয়ে দেন, কেউ আবার পাতার নিচে একটি ছাগলকে বসিয়ে দেন। যেন ছাগল পাতাটা খাচ্ছে। তবে এসব নিয়ে কিয়ারা কিন্তু কোনও বক্তব্য রাখেননি। সম্ভবত সবার আনন্দের অংশ হতে পেরে উপভোগই করছেন ব্যাপারটা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।