ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

তাসকিন-আঞ্জেলি দম্পতির কাছে ভালোবাসা যেমন

মো. জহিরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
তাসকিন-আঞ্জেলি দম্পতির কাছে ভালোবাসা যেমন

ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোনোদিন বা সময়ের প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয় ভালোবাসা দিবসটা প্রতিদিনেরই। ভালোবাসা না থাকলে মানুষের কোনো স্বপ্ন থাকে না, আর স্বপ্নহীন বেঁচে থাকার কোনো অর্থ নেই। সবার মাঝে ভালোবাসা থাকুক, স্বপ্ন বেঁচে থাকুক। প্রতিদিন, প্রতিরাত এবং প্রতিক্ষণ একে অপরকে ভালোবাসুক।

ভালোবাসা দিবস নিয়ে নিজের ভাবনাটা এভাবেই বললেন তরুণ চলচ্চিত্র অভিনেতা তাসকিন রহমান। গত বছর তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছেন কাজী আঞ্জেলি রহমানকে।

তাদের গল্প বলতে দু’জনই আড্ডায় মেতেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে।

আঞ্জেলির কাছে ভালোবাসা মানে শুধুই তার স্বামী। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ভালোবাসা দিবস মানেই হলো তাসকিন। কারণ উনি শুধু আমার স্বামীই নন, আমার বন্ধু, পরিবার, অভিভাবক... সবই। উনার থেকেই সব শুরু এবং উনার কাছেই আমার সব শেষ। ’

তাদের প্রথম দেখাটা ছিল বিয়ের ৮ মাস আগে। তখনই ভালো বন্ধু হয়েছেন। তবে তারা প্রেম করেছেন মাত্র তিন মাস। এরপরই একে অপরের গলায় মালা পরান।  

‘দু’জনের যখন মনের মিল হয়ে গেল, তখন আসলে আর অপেক্ষা করা ঠিক হবে বলে মনে হচ্ছিল না। তাই সারাজীবন একে অপরের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিই, বিয়ে করি। ক্যারিয়ার, কী হবে না হবে-কোনটাই ভাবনায় আসেনি,’ বললেন তাসকিন।
তাসকিন ও আঞ্জেলি/ছবি: বাংলানিউজ

আঞ্জেলি জানালেন, তিনিও কখনোই তাসকিনকে হারাতে চাননি, তাই বিয়ে  করে একেবারে নিজের করে নিয়েছেন। ভালোবাসার মানুষটিকে পেয়েছেন বলে নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে করেন তিনি। এখন সবার দোয়া নিয়ে সুন্দর একটি সংসার গড়ে তুলতে চান।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পরিকল্পনা কী? তাসকিনে ভাষ্যে, প্রিয় মানুষটিকে মূল্যায়ন করা, সবসময় তার সঙ্গে থেকে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই ভালোবাসা। তাই আলাদা করে ভালোবাসা দিবস পালনের পক্ষে আমি নই। প্রতিদিন ভালোবাসতে হবে, পাশে থাকতে হবে। তার সঙ্গে সুর মেলানেন আঞ্জেলিও।

অভিনয়ের জন্য স্ত্রীকে খুব কমই সময় দিতে পারেন তাসকিন। তবে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই আঞ্জেলির। বললেন, ‘শুরুতে খুব মন খারাপ হতো। সবাই স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে যায়, কতো কিছু করে। কিন্তু তাসকিন বেশিভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম, উনি তো যা করছেন সব আমার জন্যই। আর কাজ শেষে যত রাতই হোক, উনি সবসময় বাসায় ফিরবেনই, সেটা যদি শুটিং করতে করতে ভোরও হয়; তবুও। ’

সময় কম দেওয়াতে মাঝে মধ্যে তাসকিনেরও মন খারাপ হয়ে। ‘আমি চেষ্টা করি শুটিং বা অন্য কাজের ফাঁকে ওকে সময় দিতে। কিন্তু আসলে সবসময় চাইলেও সময় করতে পারি না। ’

বিয়ের প্রায় ৮ মাস পার হয়ে গেলেও এখনো মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হয়নি তাসকিন-আঞ্জেলির। তাদের দু’জনেরই ইচ্ছে ইউরোপের এমন একটি দেশে যেতে যেখানে তারা কখনো যাননি। তবে কখন যাবেন, সে সময়টা এখনো তারা ঠিক করতে পারেননি। ২০২০ সালে যেকোনো দিন হতে পারে বলে জানালেন দু’জনই।

আড্ডার শেষে তাসকিন রহমান বললেন, এমনভাবে ভালোবাসুন যাতে সে ভালোবাসা মানুষকে শুদ্ধ করতে পারে। এমনভাবে ভালোবাসুন, যাতে আপনার ভালোবাসা দেখে অন্য কারো ভালোবাসাতে ইচ্ছে করে। পৃথিবীটা ভালোবাসায় ভরে যাক, আরও সুন্দর হয়ে ওঠুক। সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।