ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

পথচলার ১৩ বছর নকশীকাঁথা ব্যান্ডের

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
পথচলার ১৩ বছর নকশীকাঁথা ব্যান্ডের ব্যান্ডদল নকশীকাঁথা

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগান বিশ্বের দরবারে এবং বিশ্বের নানান দেশের লোকগান এ দেশের দর্শক- শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে নকশীকাঁথা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের প্রায় সব অঞ্চলের বহু লোকগান সংগ্রহ করে সেগুলো এ সময়ের উপযোগী করে মঞ্চ ও টেলিভিশনে পরিবেশন করছেন এই ব্যান্ডের সদস্যরা।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ব্যান্ডদল নকশীকাঁথা’র ১৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে।  

২০০৮ সালে প্রকাশিত হয় ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘নজর রাখিস’।

ওই অ্যালবামের ‘ভোরের শিশির’, হাটের গোলমাল’, ‘নজর রাখিস’, ‘ভালোবাসার গান’ ও ‘একশ বছর’  শিরোনামের গানগুলো শ্রোতামহলে প্রশংসিত হয়।  

২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘নকশীকাঁথার গান’। এই অ্যালবামের ‘নয়া বাড়ি’, ‘চোর’, ‘সাত আসমান’ প্রভৃতি বেশ ভালো সাড়া ফেলেছিল। এরপর আরও অন্তত ২০টি নতুন গান কম্পোজিশন করেছে নকশীকাঁথা। রোহিঙ্গা সংকট, সীমান্ত উত্তেজনা, ফেলানী হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বেশ কিছু সংকট নিয়েও গান তৈরি করেছেন ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমী। এর মধ্যে রয়েছে- ‘ভালোবাসার মালা’, ‘প্রেমনদীতে তুফান ভারী’, ‘বাংলা ভাষার দুর্গতি’ প্রভৃতি।

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্টে গান পরিবেশন শ্রোতামহলে বেশ প্রশংসিত হয় নকশীকাঁথা। এই ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমী দেশের বিভিন্ন  অঞ্চলের লোকগান নিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে গবেষণা করছেন। দীর্ঘ ২২ বছর দেশের প্রথম সারির ছয়টি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পাবলিক রিলেশন্স ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। চাকরি ও গানে সমান মনোযোগ তার।  

নকশীকাঁথা ব্যান্ডের লাইনআপ: সাজেদ ফাতেমী (দল প্রধান ও ভোকাল), জে আর সুমন (অ্যাকুইস্টিক গিটার, রাবাব ও দোতারা), বুলবুল সাহা (কাহন ও পারকেশন্স), রোমেল হাসান (মেলোডিকা ও অ্যাকোর্ডিয়ান), শামস (বেজ গিটার)।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
ওএফবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।